মৌমিতা তাসরিন, কিশোরগঞ্জঃ
শিক্ষা হোক পথ শিশুর অধিকার, পথ নামটি মুছে দিব এই আমাদের অঙ্গীকার। এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীরা চালাচ্ছে এই পথ তারার ইশকুল। এসব তরুণদের মাথায় কখনো এরকম ভাবনা চিন্তা ছিল না যে রেললাইনের পাশে শিশুদেরকে নিয়ে এরকম একটা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা সব বন্ধুরা মিলে প্রতিদিন বিকালে স্টেশনে চা খেতে যেতো। স্টেশনের বাচ্চাদের কে নিয়ে অনেক মজা করতো তারা।বাচ্চাদের কে ইট দিয়ে লিখতে দিতো তাদের নাম,অ,আ,ই,ঈ । লিখতে পারলে চকলেট দেওয়া হতো তাদেরকে।একদিন তাদের মাথায় আসলো বাচ্চাদের শুধু নাম লিখা শিখাবে। তারা সব ব্ন্ধুরা মিলে প্ল্যান করলো পরের রোজ স্টেশনে আসবে তাদের এসব শিখানোর জন্য।
কিন্তুু তাদের প্রয়োজন কিছু খাবার আর একটি চাটি। তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা-পয়সা না থাকার কারণে তারা সিদ্ধান্ত নিলো সদর হাসপাতাল থেকে চাটি আনবে কিন্তুু শত চেষ্টা করেও আনা যায়নি।তারপর সাকিবের পকেটের টাকা দিয়ে কিনা হলো চাটি।দিনটা ছিলো ১১ নভেম্বর, ২০১৫। সব কিছু কিনা শেষ হলো পরদিন সকালে ৭ ব্ন্ধুর যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তুু সকাল থাকায় গিয়েছিলো ৩ জন (অন্ত,রুবেল,সাকিব)। তারা সাথে নিয়ে যাই চকলেট,বিস্কুট, পেনসিল, কলম আর চাটি।তারপর আস্তে আস্তে স্কুলটা উন্নতির দিকে ধাবিত হতে লাগলো। প্রতিদিন স্কুলে ৭০/৮০ জন উপস্থিত থাকে যেখানে প্রথম দিন ১ জন মাত্র উপস্থিত ছিলো। বাচ্চাদের বই, খাতা, পেনসিল এগুলো দেওয়া হয় স্কুল থেকেই। সকাল ৮-১০ পর্যন্ত সপ্তাহে ৭ দিনই ক্লাশ চলে।আর এভাবেই চলছে পথ তারার ২টি স্কুল শাখা। ২ শাখায় মোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর এভাবেই চলতে থাকে রেললাইনের শিশুদের কে নিয়ে পথ তারার ইশকুল।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৮-০৩-২০১৭ইং/ অর্থ