আইন আদালত ডেস্ক :
বকেয়া পরিশোধ না করায় ক্ষুদ্রঋণের প্রবক্তা ও বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১২টি।
রোববার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা দুটি করেন ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের উপ-ব্যবস্থাপক শেখ শরীফুল ইসলাম ও কর্মকর্তা চন্দ্র কুমার রায়।
এর আগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দু’দিনে ১০টি মামলা করেন গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীরা। এর মধ্যে বুধবার ঢাকার শ্রম আদালতে সাতটি এবং মঙ্গলবার তিনটি মামলা করা হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ বলেন, বকেয়া পরিশোধ না করায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ টেলিফোনে এক-তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। এ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কর্মীদের মাঝে বণ্টন করে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।
২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকমের মুনাফা হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এ মুনাফা কর্মীদের পরিশোধ করা হয়নি। গত দশকে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১০৮ কোটি টাকা কর্মী ও সরকারকে দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ অর্থের ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের পরিশোধ, ১০ শতাংশ সরকার এবং ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কল্যাণ ফান্ডে জমা দেয়ার কথা।
মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান এবং এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ অবদান রাখায় ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৯-মার্চ-২০১৭ইং/নোমান