রকমারি ডেস্ক :
খামোকাই ওজন বেড়ে যাচ্ছিল তরুণীর। বয়স ২৪। কিন্তু এই বয়সেই এমন অস্বাভাবিক হারে কেন ওজন বাড়ছে, সেটাই বুঝতে পারেননি মেক্সিকোর এই বাসিন্দা। ডায়েটে থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না ওজন। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছে যেতে বাধ্য হন ওই তরুণী। তখনই চক্ষু চড়কগাছ। পরীক্ষায় দেখা গেল, ১১ মাস ধরে একটি বিশালাকার ওভারিয়ান সিস্ট নিজের দেহে বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
মেক্সিকো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এরিক হ্যানসন জানান, সিস্টটির আকার এতটাই বড় যে, সেটি অস্ত্রোপচার না করলে যে কোনও মুহূর্তে তা বাড়তে বাড়তে রোগীর হৃদস্পন্দনও থামিয়ে দিতে পারে। চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, পাঁচটি পাথরও ছিল সেই সিস্টে। আকার এতটাই বড় ছিল যে, তার মধ্যে অনায়াসেই ১০টি গর্ভস্থ ভ্রূণ থাকা সম্ভব!
সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সিস্টটির। মেক্সিকো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সিস্টটি লম্বায় ছিল ১৫৭ সেন্টিমিটার। টানা পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় শেষমেশ ৩৩ কেজি ওজনের সিস্টটি ওই তরুণীর দেহ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।
চিকিৎসক এবেল জেনিফার জানিয়েছেন, সিস্টটির ২০ শতাংশ জুড়ে ছিল ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। তবে এত বড় সিস্ট নিয়েও স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটাচলা করতে পারতেন ওই তরুণী। এখন পুরোপুরি বেড রেস্ট দরকার ওই তরুণীর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাস পর থেকে আবার স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি। – আনন্দবাজার
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৩-মার্চ-২০১৭ইং/নোমান