মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযানের পর এবার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকার সন্ধান পাওয়া অপর জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোয়াট সদস্যরা।
এজন্য বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাতে অভিযানস্থল ও তৎসংলগ্ন এলাকা রেকি করা হবে। আর সকালে নামা হবে অভিযানে। এ কাজে সোয়াট সদস্যদের সঙ্গে থাকবেন কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
সিটি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতে সোয়াট সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা প্রথমে জঙ্গি আস্তানাটি রেকি করবেন এবং অভিযান পরিকল্পনা সাজাবেন। এসব করতে রাত বেশি হয়ে গেলে আগামীকাল সকালে মূল অভিযান শুরু হতে পারে।
এর আগে, বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে নাসিরপুর জঙ্গি আস্তানায় পৌঁছে অভিযান চালায় সোয়াট সদস্যরা। তবে ওই রাতে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের ফলে জঙ্গি আস্তানা ভবনের একটি অংশ উড়ে যায়। সেসময় অভিযান স্থগিত করা হয় বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে অভিযান শেষ হওয়ার পর আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সিলেটের আতিয়া মহলের বাইরে ঘটানো দুই বিস্ফোরণের সূত্রে মৌলভীবাজারের বড়হাটের জঙ্গি আস্তানার সন্ধার পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এরপর এই আস্তানা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ধান মেলে নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানার।
কিন্তু বড়হাটেয় কম জঙ্গি ও বিস্ফোরক থাকার তথ্যের ভিত্তিতে কিছুটা জটিল ও গ্রামীণ পরিবেশের নাসিরপুর আস্তানায় প্রথমে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সোয়াটকে। অন্য ইউনিট ও সংস্থাগুলো তাদের সহায়তা করে।
বুধবার (মার্চ ২৯) সকাল থেকে পুলিশ-ৠাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য বড়হাটের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে। সন্ধ্যা ৬টায় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিআরটি। বর্তমানে তারা ভেতরের জঙ্গিদের ব্যস্ত রাখতে ‘অ্যাঙ্গেজ ফায়ার’ চালাচ্ছে।
সন্ধ্যার আগ থেকেই প্রখর সার্চ লাইটের মাধ্যমে বড়হাটের জঙ্গি আস্তানার বাড়িটির চারপাশ আলোকিত করে রাখা হয়েছে।