মন্তোষ চক্রবর্তী, (অষ্টগ্রাম) কিশোরগঞ্জ থেকে।।
গত কয় দিনের ক্রমাগত বর্ষণে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫ হাজার একর ইরিবোরো কাচাপাকা ধান ক্ষেত। ফলে কৃষকদের মধ্যে দেখা গেছে বিষন্নতা আর হাহাকার। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এইসব জমির অধিকাংশ ফসল বিনষ্ট হয়ে যাবে বলে অনেক কৃষকরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পানির নীচ থেকে কৃষককে ধান কেটে আনতে। এই ক্ষতির ফলে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কলমা, আদমপুর, আব্দুল্লাহ পুর খয়ের পুর, কাস্তল, বাংগাল পাড়া সহ ১০ হাজার কৃষক, মাঝারি কৃষক, বর্গাচাষী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই উপজেলার একমাত্র ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে অনেক জমিতে চোখের জল মুছতে দেখা গিয়েছে।
কলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, রাধাকৃষ্ণ দাস মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানান, শনিবার সকালে কলমা ইউনিয়নের বিল মাসকার বাঁধটি ভেঙে গেলে, হালাল পুর, কলমা, কাকুরিয়া সহ আশপাশের নারী পুরুষ দল বেধে এসে বাধঁটি রক্ষার চেষ্টা করে। এই উপজেলার উৎপাদিত ইরিবোরো ধানের ২০ শতাংশ স্থানীয় চাহিদা পূরন করে বাকি ৮০ ভাগ উন্নতমানের ধান দেশের বিভিন্ন শহর, বন্দর, বাজারে বিক্রি সহ জাতীয় খাদ্য ভান্ডারে যোগান দিয়ে থাকে। এই হাওরে রয়েছে প্রচুর বিল, বাদার। অগনিত সুইচগেইট, কালভার্ট, অপরিকল্পিত বাধেঁর সমাহার। গত কয়দিনের প্রবল বর্ষণে এই উপজেলার মেঘনা, ধলেশ্বরী, বৈঠাখালি, করাতিয়া কলকলিয়া, ঘোরাউত্রা নদীর পানি ব্যপক পানি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বিল মাসকা, ধোপাবিল, আন্দা মান্দা, পদবিল, কৈরাইলের বিল সহ বিল বাদার গুলোতে পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, আব্দুল মোন্নাফ কে এই ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার একর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, এই ভাবে পানি বাড়তে থাকলে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০২-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ