রাজিবুল হক সিদ্দিকী, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জে অজ্ঞান করে স্ট্যাম্পের মায়ের টিপ স্বাক্ষর নেয়ার দায়ে স্কুল শিক্ষক এক পুত্র ও এক কন্যা এখন জেলহাজতে দিন কাটছে। স্কুল শিক্ষক পুত্র নাজমুল হক রতন এলাকায় গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবেও পরিচিত। সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের চিলাকারা আল হেলাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনি সহকারী শিক্ষক।
মামলার সূত্র থেকে জানা গেছে, নান্দলা জালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী নূরুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন শিক্ষক রতন ও কন্যা হাসনা বেগমের গর্ভধারিন মাতা। আমেনা খাতুনের অভিযোগ ছোট ছেলে হুমায়ুনকে বৈধ ওয়ারিশ থেকে বি ত করার কৌশলে কিশোরগঞ্জ শহরে তার মেয়ে হাসনা বেগমের দেবর ফারুকের বাসায় তাকে আটক করে জোর পূর্বক তরল জাতীয় নেশা পান করিয়ে অজ্ঞান করে স্ট্যাম্পে টিপ স্বাক্ষর নেয়া হয়। মেয়ে ও নাতিনের বাসায় ৬/৭ দিন অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরে এলে খবর পেয়ে স্কুল শিক্ষক রতন ও ছোট ভাই হুমায়ুনকে নিয়ে নিজ মাতাকে বাড়িতে নেয়ার জন্য শহরে আসে। অসুস্থ্য অবস্থায় আমেনা খাতুনকে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে নান্দলায় তাদের গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমেনা খাতুন সুস্থ হলে স্ট্যাম্পে তার টিপ স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে তিনি প্রথমে কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুত্র রতন মাস্টার, কন্যা হাসনা বেগমসহ ৬ জনকে আসামী করে কোর্টে মামলা রুজু করেন। আদালতের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড হওয়ায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার এড়াতে কোর্টে হাজির হয়। আমলগ্রহনকারী আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল মাহমুদ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে চিলাকারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মুকসেদ তার সহকর্মীর জেল হাজতে থাকার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মুকসেদ মিয়া ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটে হাজতবাসী রতন মাস্টারের নামে ছুটি মঞ্জুর করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়া শুরু হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০২-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ