আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জেলার হাওরবেষ্টিত উপজেলা এলাকা পরিদর্শন কওে কৃষকদেও পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি হাওরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার ও দাবি জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের অন্তত ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো জমির ধান তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে অনেক বাঁধ। প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। এ অবস্থায় প্রতিটি কৃষক পরিবারের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে।
সোমবার হাওরের পাঙাইয়া বাঁধটি ভেঙে কয়েকশত একর বোরো জমি তলিয়ে গেছে। পাশের হাসনপুর বাঁধটি রক্ষার জন্য শতাধিক কৃষক দিন রাত পরিশ্রম করছেন। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে মিঠামইন, করিমগঞ্জ ও নিকলী উপজেলার কয়েক হাজার কৃষকের স্বপন বোরো ফসল পানির নিচে তলিযে যাবে। এই চিন্তায় কৃষকদেরকে পেয়ে বসেছে। কেবল বাঁধ ভেঙ্গে নয়, হাওরের ভিতর দিয়ে মপ্রবাহমান নদীগুলোর পাড় উপছে পানি বোরো জমিতে গিয়ে পড়ছে। আর সাথে সাথেই তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। পুরো হাওর এলাকার একই চিত্র। অনেক কৃষক জমিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, হাওরের কৃষকরা কেবল একটি ফসলের উপর নির্ভরশীল। এই প্রাণের বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কৃষকরা চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তাই হাওর অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে ।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৪-এপ্রিল-২০১৭ইং/নোমান