মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ ও আরজুর পরিবার অভিযোগ করেছে, পুলিশের চাঁদাবাজির ঘটনায় বাধা দেওয়ায় আগে থেকেই টাগের্টে ছিল হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরজু মিয়া। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে র্যাব-২ কর্মকর্তারা তাকে হত্যা করেছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সাদেক হামিদ সাজু।
আরজুর বড় ভাই মাসুদ রানা বলেন, আমার ভাই সন্ত্রাসী না। সন্ত্রাসী হলে টিউশনি করে লেখাপড়া করত না। তবে তার একটা অপরাধ আছে, সে স্বপ্ন দেখেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা হবে। সে জন্য রাত-বিরাত মানুষের প্রয়োজনে ছুটে যেত।
হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে মাসুদ রানা বলেন, হাজারীবাগ বটতলার এক চা দোকানি রাত সাড়ে ১২টায় ফোন করে আরজুকে বলেছে, ভাই পুলিশ আমাকে মেরেছে। আমার ভাই সেখানে ছুটে গেছে। এক কথা দু’কথায় সেখানে পুলিশের হাতাহাতিও হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশ তাকে টার্গেট করেছে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মোহায়মেন বয়ান, যুগ্ম-সম্পাদক এস এম রাজিব হোসেন সানোয়ার, ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম সজিব, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খোকন, ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দিল জাহান ভূঁইয়া, নিহত আরজুর বড় ভাই মাসুদ রানা প্রমুখ।