muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জে জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মানববন্ধন

আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ 

কিশোরগঞ্জ জেলায় অজ্ঞাত মুখোশধারী রূপ ধারন করে পথচারীদের উপর অতর্কিত হামলায় সাধারণ জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন সর্বস্তরের সাধারণ জনতা ও ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট হৃতম খাসনবিশ চয়ন, সভাপতি ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু পিযুষ কান্তী সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুম খান, আওয়ামীলীগ নেতা এনায়ের করিম অমি, যুবলীগ নেতা মাহফুজ আহমেহ, দেলোয়ার হোসেন, পল্লব কর, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক পরিষদের উপদেষ্টা বাবু অনিল পন্ডিত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টি রিপন রায় লিপু, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচন সহ কিশোরগঞ্জের সর্বস্তরের জনতা।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন কিশোরগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নরসুন্দা প্রকল্পে ১১০ কোটি টাকার ব্যয় করে সুসজ্জিত ব্রীজ ও নদীর পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই গড ফাদারের নির্দেশে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু নদীটিকে ফিশারীতে পরিণত করে। সর্বস্তরের জনতার চাপের মুখে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ নদীটি দখলমুক্ত হয়। সন্ত্রাসীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এতে সাময়িক সন্ত্রাস দমন হলেও গড ফাদারের নির্দেশে জামিন পাওয়া সেই সন্ত্রাসী পূণরায় নগুয়া সাধারণ মানুষের উপর হামলা করে। ১৭-১৮ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করা হলে গডফাদারদের ফোনে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এতে কিশোরগঞ্জবাসী ও সাধারণ জনতা আতংকিত।

ভীত আতংকিত জনতার পাশে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্তনা দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে জনতার নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা হাতে অস্ত্র নিয়েছিলাম। আর নয় মাস যুুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রাজাকার, দেশ শত্রু ও ভূমি দস্যুদেরকে লালন করে পেশী শক্তির প্রকাশ দেখাতে চায় একদল সন্ত্রাসী ও গড ফাদার। নরসুন্দা প্রকল্প বাধাদান, পাট গুদাম দখল, জমি দখল, সাধারণ মানুষের চলাফেরায় বাধা ও হামলাসহ নারী-শিশুর জীবনের হুমকী নিয়ে চলাফেরা করছেন। আমরা আগামীতে কোনো এলাকায় কলাপাড়ার মতো, নদী দখল, নগুয়া হামলা, পাট গুদাম দখল এমন কর্মকান্ড চলতে থাকলে আপনারাও নিরাপদ নন। পুলিশের নিরবতায় সাধারণ জনতা আতঙ্ক বোধ করছে। এ সন্ত্রাসীদের মূল হোতা কে? প্রশাসন ও পুলিশ মূল হোতাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করুন। অন্যথায় আপনারাও এ সন্ত্রাস থেকে নিরাপদ নন।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১০-০৪-২০১৭ইং/ এম ইউ  

Tags: