সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ
***রহমান মাসুদ***
প্রাণের দোলায় দোলে
বাংলার দ্বারে চলে এলো বৈশাখ,
আমন্ত্রন শত অভিনন্দন
তুমিই বাঙালির হৃদয়ের আল্লাদ।
আবহমান কাল হতেই
বাঙালির ঐতিয্যে অবস্হান,
বৈশাখ এলে চিত্ত খুলে
নববর্ষ উৎযাপনের মহা ধুমধাম।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষমান,
এসো এসো হে বৈশাখ
বাঁশির সুরে সুরে রাখালের গান।
গ্রাম-গন্ঞ্জ-শহরের বুকে
নিত্য নতুন রূপে বৈশাখী মেলা,
হরেক রকম দ্রব্যের সমাহার
এখনো প্রিয় আকর্ষন নাগরদোলা।
রমনার বটমূলে ৫০তম বর্ষবরণ
এবার ছায়ানটের সে পূর্তীর আয়োজন,
ভোর হতেই সেথা লোকে লোকারন্য
ধর্মের সকল বিভেদ ভুলে হয়ে একমন।
চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা
ইউনেস্কোর সসম্মানে স্বীকৃতি জ্ঞাপন,
মিছিলে নারী পুরুষের ভীড়
সাজ সজ্জায় অপরূপ শোভা বর্ধণ।
ধনী দরিদ্র সবার মাঝে
বৈশাখ মানেই আনন্দের মিলনমেলা,
অসম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশে
নির্বিঘ্নে হেসে খেলে বীরদর্পে পথচলা।
স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক
উৎসব পালনে নেই কোন উৎকন্ঠা,
সফল বৈশাখ পালনে
বারবার প্রকাশিত হৃদয়ের সে কথা।
বাংলার মানুষ সংস্কৃতিমনা
কথাটা যদিও সবারই আছে জানা,
নানা ব্যস্ততায় তা ভুলে গেলেও
বৈশাখে পুনঃজাগরিত সে উদ্দীপনা।
১৪২৩ বিগত বিদায় বলে
রেখে গেল কত স্মৃতি হৃদয়পটে,
সময়ের ধারার এটাই লিখন
সূর্য্যদয়ে নতুনের আগত বার্তা ঘটে।
১৪২৪ হবে তুমি মঙ্গলকর
চাইনা দুর্যোগ রক্তপাত জঙ্গী সন্ত্রাস,
দেশের মানুষ চায় শান্তি
সকল অকল্যাণকর পদক্ষেপের বিনাস।
বৈশাখ বৈশাখ বৈশাখ তুমি
প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের হৃর্দিকতায়,
শুভ হওক তব আগমন
বিধাতার কাছে নতশির, সে প্রার্থনায়।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডোটকম/১৪-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ