মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ দেহরক্ষী হয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন মাহবুব রশিদ মাসুদ (মাহবুব)। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন উৎসর্গ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মাহবুবের দারিদ্র্যের সঙ্গেই ছিলো বসবাস। তবে ছোটবেলা থেকেই সৎ আর পরোপকারী মাহবুব সবার প্রিয় ছিলেন।
পরে শেখ হাসিনার ৪০ জন বিশ্বস্ত নিরাপত্তারক্ষীদলের একজন হতে পেরেছিলেন মাহবুব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন একনিষ্ঠভাবে। অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন মানববর্ম হয়ে।
মাহবুব ছাড়াও সেদিন নিহত হন আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতা-কর্মী। কেন্দ্রীয় নেতারা মানববর্ম হয়ে রক্ষা করেন শেখ হাসিনার জীবন।
তিন ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে মাহবুব ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা মো. হারুন অর রশিদ এখন বয়সের ভারে ন্যুজ।
তার ছোট ভাই মামুন অর রশিদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বড়ই সাদাসিধে ছিলেন তার এ ভাইটি। তার না থাকা পুরো পরিবারকে কষ্ট দিলেও তিনি যে নেত্রীর জীবন বাঁচাতে পেরেছেন সেজন্য তাদের কোনো কষ্ট নেই।
তবে তার একটাই কষ্ট যে স্থানীয় নেতারা কেউ তাদের খোঁজ নেন না। একজন এমপি মাহবুবের ছেলের জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করবেন বললেও সেটা করেন নি।
মাহবুবের স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে জানালেন মামুন।