স্পোর্টস রিপোর্ট:
নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। দলও হেরে যায়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তামিম ইকবাল আজ খেললেন, বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। অধিনায়কের জ্বলে ওঠার দিনে মোহামেডানও পেল প্রথম জয়।
ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ২৪ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। তামিমের রেকর্ড গড়া ১৫৭ রানের ইনিংসের সুবাদে মোহামেডান পেয়েছিল ৩০৭ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে কলাবাগানের ইনিংস থামে ২৮৩ রানে।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় কলাবাগানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলের ২৫ রানেই কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে শামসুর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জসিমউদ্দিন (১১)। আগের ম্যাচে মাত্র ৬ রান করা মোহাম্মদ আশরাফুল এদিন অবশ্য বড় ইনিংসেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে নিয়ে তিনি গড়ে ফেলেছিলেন ৪৭ রানের জুটি। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে আশরাফুল আউট হয়ে যান রহমত শাহর বলে নাজমুল হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে।
৭২ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে তুষার ইমরানকে নিয়ে ৯০ রানের বড় জুটি গড়েন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান মাসাকাদজা। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দারুণ ব্যাটিং করা তুষার ফিফটির পর ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় তুষার করেছেন ৬৪।
মাসাকাদজা অবশ্য তুষারের বিদায়ের পরও লড়াই চালিয়ে গেছেন। কিন্তু দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেননি। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮০ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে মুক্তার আলীর ৩২ বলে অপরাজিত ৩৮ রান (৩ চার, ২ ছক্কা) কেবল কলাবাগানের পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে।
মোহামেডানের হয়ে রাব্বি ৩৯ রানে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ৫৬ রানে ২ উইকেট মিরাজের। এ ছাড়া শুভাশিস রায়, সাজেদুল ইসলাম ও রহমত শাহর ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ও শামসুর। শামসুরের (৫০ বলে ৩৮) বিদায়ে ৭৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও তামিম বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কলাগাবানের বোলারদের চোখের জল নাকের জল এক করে ছেড়েছেন।
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১২৫ বলে ১৫৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলেন তামিম। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৮টি চার ও ৭ ছক্কায়। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। দুই ওপেনার ছাড়া আর কারও রান ২৫ না ছুঁলেও বড় পুঁজিই পায় মোহামেডান। পরে যেটি তাদের এনে দিল টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ৩০৭/৯ (তামিম ১৫৭, শামসুর ৩৮, রাব্বি ২২; সঞ্জিত ৪/৫২, মুক্তার ২/৩০, নাবিল ২/৪৪)
কলাবাগান: ৫০ ওভারে ২৮৩/৯ (মাসাকাদজা ৬৮, তুষার ৬৪, আশরাফুল ৪৬; রাব্বি ৩/৬৯, মিরাজ ২/৫৬, রহমত ১/৩৬)
ফল: মোহামেডান ২৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৮-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ