muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জে বোরো ফসলের ৫৭ হাজার হেক্টর ধানি জমিতে ৮০৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

রাজিবুল হক সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জঃ 

অদ্য ২৩-০৪-২০১৭ইং রোববার বিকাল ৪ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস আগত বিভিন্ন সাংবাদিক প্রতিনিধিদের কাছে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কিশোরগঞ্জ জেলার বোরো ধান ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, ত্রাণ সহায়তা এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভার সিদ্ধান্ত সমূহ গুলো প্রাথমিক প্রতিবেদন গুলো তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরঅঞ্চলের মোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৬ হেক্টর আবাদী জমির মধ্যে ৫৭ হাজার ২৭ হেক্টর জমির বোরো ধান আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে ২ লাখ ১ হাজার ৩০৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হতো যার আর্থিক মূল্য ৮০৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৭৫ জন কৃষক।

তিনি জানান, আগাম বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলার ৯টি উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, নিকলী, বাজিতপুর, ভৈরব, তাড়াইল ও হোসেনপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নগদ ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ৫৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে সহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ৫শ’ টাকা জুলাই মাস পর্যন্ত দেওয়া হবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩টি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, জরুরী ত্রাণ সহায়তা হিসেবে পর্যাপ্ত চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া, বিশেষ ভিজিএফ/ভিজিডি কর্মসূচি চালু করা, ওএমএস চালু করা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয় কার্যক্রমে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, গৃহপালিত প্রাণীর জন্য বিনামূল্যে গোখাদ্য এবং ঔষধ সরবরাহ করা, আগামী বোরো মৌসুমের আগে কৃষি উপকরণ, সার, বীজ ও নগদ অর্থ সহায়তা করা, বিশেষ কাবিটা/কাবিখা কর্মসূচী চালু করা, কৃষি ঋণের সুদ মওকুফসহ আপদকালীন ঋণ আদায় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, এনজিও ঋণ আদায় কার্যক্রম আপদকালীন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ইত্যাদি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পিপি শাহ আজিজুল হক, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি রিপন রায় লিপু, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাংবাদিক আমিনুল হক সাদী এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৩-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: