আতিকুর রহমান কাযিন, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অনুমোদনহীন ওয়াশিং পাউডার রানী পাওয়ার হোয়াইট, বীন ডিটারজেন্ট, সামিয়া কাপড় কাঁচার সাবান এবং রানী এক্সেল মিনিপ্যাক প্রস্তুতকারী রাকিব-সামী ফুড এন্ড কেমিক্যাল কোম্পানীর যৌথ মালিকের ১ লাখ ৫০ হাজার করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং তিন মাসের জেল, অনাদায়ে আরও দুই মাসের জেল প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-৩, ভৈরব ক্যাম্প এর মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
সোমবার কটিয়াদী পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহা সড়কের পাশে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার যৌথ মালিক আব্দুল্লাহ (৫৫) ও হাবিবুল্লাহ কাজল (৫২)কে তাদের উৎপাদিত পন্যের বিএসটিই অনুমোদেনর কাগজপত্র দেখাতে বলেন।
অনুমোদনের কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে এ জরিমানা প্রদান করেন কিশোরগঞ্জের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা আক্তার। এ সময় তাদের গোডাউন থেকে ২২০ বস্তা ডিটারজেন্ট এর কাঁচামাল, ৪শ পিস এর ১০ বস্তা রানী বল সাবান, ৬০ প্যাকের ২০ বস্তা রানী ডিটারজেন্ট, ৬০ প্যাকের ১২ বস্তা বীন ডিটারজেন্ট এবং রানী এক্সেল ১২০ প্যাকের ৫ বস্তা মাল এবং পন্যের মোড়ক আগুণে পুড়িয়ে এবং বাগাড়ে ফেলে ধ্বংস করা হয়। কারখানার মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকার এসএম ট্রেডিং আমাদেরকে বাকীতে কাঁচামাল সরবরাহ করে। আমাদের উৎপাদিত পন্য ভ্রাম্যমান রিক্সা ভেনে করে গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে মালিকের টাকা পরিশোধ করি। গ্রেফতারকৃত দু’জনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কুলিয়াচর উপজেলায়। তারা দীর্ঘদিন যাবত কটিয়াদী এলাকায় এসব পন্য উৎপাদন করে বিক্রি করে আসছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা আক্তার বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি পন্যের জন্য পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৪-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ