শফিক কবীর, স্টাফ রিপোর্টার :
হাওরে অকাল বন্যায় তলিয়ে গেছে কৃষকের ধান, ম্লান হয়ে গেছে কৃষাণীর মায়া ভরা মুখ।
আকস্মিক বন্যায় বাঁধ ভেঙে ফসল, হাঁস-মাছ,গবাদিপশুসহ সব হারিয়ে নিঃস্ব হাওর অঞ্চলের কৃষকের জন্য ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে মহাজনদের দাদন ও এনজিওদের ঋণের চাপ। গোটা বছরের সম্বল বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার কষ্টের চেয়েও দেড়-দুই গুণ সুদে নেয়া ঋণ পরিশোধের দুশ্চিন্তায় থামছে না কৃষকের কান্না। হাওর অঞ্চলের এক মৌসুমী বোরো ফসলে গোটা বছর কাটাতে না পারায় প্রতিবছর ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানোর’ অবস্থা হয় কৃষকের। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে দুই-তিন গুণ সুদে তাদের মাঝে ঋণ ছড়ায় মহাজনরা। বৈশাখে ফসল উঠলে সুদে-আসলে ঋণ আদায়ে উঠেপড়ে লাগে তারা।
এবার আকস্মিক বন্যায় সব ফসল শেষ হয়ে যাওয়ায় ধান দেয়া বা তা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের উপায় না থাকায় নিরুপায় কৃষক ছোবান মেস্তরি।পাশেই হাওরের দিকে তাকিয়ে চোখ মুছতে মুছতে কথা হয় রহিমা খাতুন(শারবানু)’র সাথে।
গত ১৪ এপ্রিল করিমগঞ্জের সুতারপাড়া ইউনিয়নের চংনোয়াগাও এ সংবাদ সংগ্রহে গেলে এশিয়ানপোস্ট টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ রফিক তার চিত্র ও সংবাদ ফুটিয়ে তোলেন পত্রিকা ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি কিশোরগঞ্জের এক সৌদি আরব প্রবাসীর নজরে আসে। তিনি যোগাযোগ করে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
গতকাল কিছু টাকা মোহাম্মদ রফিকের মাধ্যমে পাঠালে আজ ঐ কৃষাণীকে হস্তান্তর করা হয়।
প্রবাসী মোঃ কামরুল ইসলাম মোট ৪০,০০০/-(চল্লিশ হাজার) টাকা ও একটি ঘর তৈরি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
ফসল হারিয়ে বিপর্যস্ত রহিমা খাতুন(শারবানু)টাকা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিপদের সময়ে যিনি সহায়তা করলেন তার জন্য প্রান খোলে দোয়া করেন।
সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সুতারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, এশিয়ানপোস্টের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ রফিক, সাংবাদিক শফিক কবির, এশিয়ানপোস্টের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুকুজ্জামান, সমাজসেবক সেলিম জাবেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রতন মিয়া, বিদ্যানুরাগী ফরহাদ আহমেদ কেনেডি, মোঃ জুয়েল, হাবিবুর রহমান মেম্বার, জসিম মেম্বার, আবুল মনসুর, লিয়াকত আলী, আঃ আওয়াল প্রমুখ।
সেলিম জাবেদ পরিবারটিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রতিশুতি দেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৮-এপ্রিল-২০১৭ইং/নোমান