রাজিবুল হক সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে পুলিশ হেফাজত থেকে এক আসামীর পলায়ন নিয়ে নাটক শুরু হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামীর পুলিশের খাতায় গ্রেফতার ছিল কি ছিল না তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ভর্তি রেজিস্ট্রারে পালিয়ে যাওয়া আসামীর নাম ঠিকানা রয়েছে। অথচ আসামীকে গ্রেফতারকারী জেলার ডিবি পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান তা অস্বীকার করেছেন।
পালানোর সময় গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৪র্থ তলার সার্জারী বিভাগের ১৩ নং বেডে আসামী হেলাল মিয়া (২৮) শারীরিক নির্যাতনের চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিল। সে পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাটের মোঃ নূরুল ইসলামের পুত্র। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে, শারীরিক নির্যাতনের চিকিৎসার জন্য শনিবার রাত আনুমানিক ১০টায় ডিবি পুলিশ তাকে ভর্তি করে। তার পাশে সার্বক্ষণিক মোঃ ফারুক ও মোঃ আনিসুর রহমান নামে দুই পুলিশ কনস্টেবল পাহারারত ছিল।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি থাকা কোন ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য বিভাগ আসামী হিসেবে দেখে না। সে আসামী হলে তার দায়ভার পুলিশ বিভাগের। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের ওসির সাথে একাধিকারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ সাইফুদ্দিন জানান, আসামীর বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলা হলেও বিষয়টি তার জানা নেই।
এদিকে গতকাল ছিল কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খানের ৪ বছর পূর্তি উদযাপনের নির্ধারিত তারিখ। দিনটি পালনের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সকাল থেকেই ছিল জেলা কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের আনাগোনা। সকাল ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয় পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শওকত জাহান জানান, হাসপাতাল থেকে আসামী পলায়নের ব্যাপারে তার থানায় কোন জিডি হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/৩০-০৪-২০১৭ইং/ অর্থ