মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্ট:
স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমার দায়েরকৃত মামলায় চট্রগ্রামের পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রুমা এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল ৭ মার্চ রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ রোববার মামলার ধার্য্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন রেফায়েত। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রেফায়েতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাছরিন আক্তার রুমা দাবি করেন, ‘সাতক্ষীরা, যশোর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় এসআই, ওসি পদে চাকরি করা অবস্থায় একাধিক পরকীয়া, মাদক সেবন, মাদক চোরাকারবারি ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন ওসি রেফায়েত। আমাকে হত্যার জন্য পাঁচ লাখ টাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করা হয়েছে। আমার নামে থাকা সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ ভুয়া স্বাক্ষর করে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেস্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসার জীবনে রাইসা বিনতে চৌধুরী (১৫) ও নানজীবা চৌধুরী (০৯) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ পদে কর্মরত অবস্থায় রেফায়েত মাদকাসক্ত ও মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এ সময় তিনি হ্যাপী চৌধুরী নামের এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করায় রুমাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
স্ত্রীর মামলা দায়েরের পর রেফায়েতকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে রাখা হয়।