শফিক কবীর, স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ সোমবার বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বেশ কটি দৈনিকে “দোষী সাব্যস্ত না হলে রাজাকার বলা ঠিক নয়” বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছে। বিষয়টির দৃষ্টি কেড়েছে অনেকের। মন্তব্যে বলা হয় নওগাঁর ধৃত রেজাউল করিম, ইসহাক ও শহীদ মন্ডলের নামের আগে রাজাকার শব্দ উল্লেখ থাকায় ট্রাইবুনাল এরূপ মন্তব্য করেছে বলে প্রকাশ পেয়েছে। এ মন্তব্যের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ভুলবুঝা-বুঝিতে থাকতে পারে বলে ট্রাইবুনালের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি ও ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ছিদ্দিক হোসাইন।
তিনি বলেন, যাদেরকে ধরা হয়েছে তাদেরকে কি রাজাকার হিসেবে ধরা হয়নি, নাকি সন্দেহমূলক ধারায় ধরা হয়েছে? গোলাম আজম, কাদের মোল্লা, নিজামী, মীর কাশিম আলী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও কামরুজ্জামান সহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলাকালীন গণজাগরণ মঞ্চসহ সারাদেশ জাগ্রত হয়েছিল ‘রাজাকার’ শব্দটি প্রয়োগ করে। যে শব্দটির চয়নে সারাবাংলা জেগে ওঠেছিল, বিচার নিষ্পত্তির আগে সেই শব্দ চয়ন কি ভুল ছিল? বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে এসে ট্রাইব্যুনালের মন্তব্যে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল বিবেকবানরা কি ভাবেন তাই আমি জানতে চাই ট্রাইব্যুনালের এমন মন্তব্যে তিনি আরো বলেন, চলমান মামলা ছাড়াও এর বাইরের যে সব সন্তানরা জানেন যে, তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনেকে অমুক অমুক ব্যক্তি হত্যা করেছে, সেই অমুক ব্যাক্তিদেরকেও তো আর রাজাকার বলা যাবে না বলে ভুল বুঝার অবকাশ রয়েছে। বিষয়টি ভাবার প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মীর জমশেদ ও বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা শাখার সহসভাপতি মীর আশরাফ আলী একই কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০১-০৫-২০১৭ইং/ অর্থ