লাইফস্টাইল ডেস্কঃ ৩০’র কোঠায় পা রাখার পর পরই জীবন হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং আর মানসিক চাপযুক্ত। নানা কারণে জীবনের ওই মধ্যবর্তী সময়ে হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগজনিত বিভিন্ন রোগ হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। সচেতনতা আর বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবন হয়ে উঠতে পারে শঙ্কামুক্ত। জেনে নিন কিছু টিপস-
সব দুশ্চিন্তা ও ক্লান্তি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন: অফিস ও পারিবারিক দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুব সহজ কোনো কাজ নয়।কিন্তু এরপরও বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলোকে সহজভাবে ডিল করার চেষ্টা করতে হবে।যত কম দুশ্চিন্তা করবেন ও বেশি বিশ্রাম নিবেন ততো বেশি সুস্থ থাকবেন।যে কাজটি করতে আপনি অনেক উপভোগ করেন,চেষ্টা করবেন প্রতিদিন কিছু সময় বের করে কাজটি করার।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম শুধু দৃঢ় শরীরই গঠনে সাহায্য করেনা,মানসিক প্রশান্তিও দেয়।আর বয়স যখন ৩০ তখন অবশ্যই নিয়মিত ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।এতে আপনার হার্ট থাকবে সুস্থ, বাড়তি মেদও কেটে যাবে।শরীর ও মন-মেজাজও ফুরফুরে থাকবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: দেখা যায় ছুটির দিনগুলোতে অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে চর্বিযুক্ত ভারী খাবার, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড বেশি খেয়ে থাকে।এতে করে হার্টের চারপাশে চর্বি জমে ও হৃদরোগজনিত রোগ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।বিশেষ করে ৩০ বছর বয়স থেকেই চর্বিযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।
প্রতিদিন দরকার ৬ ঘন্টা ঘুম: প্রতিদিন ৫ ঘন্টার কম সময় ঘুমালে ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।তাই কাজের যতোই চাপ আর ব্যস্ততাই থাকুক না কেনো হার্ট সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন অন্ত্যত ৬ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। অনেকে আছেন খাবার খেয়েই ঘুমাতে চলে যান। তাদের জন্য জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কখনোই ভরপেটে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক না। বিশেষ ধূমপান করে বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়।
সকালে অবশ্যই নাস্তা করতে হবে: ঘুম থেকে উঠে কিছু খেতে ভালো লাগেনা বা অফিসে দেরি হয়ে যাবে-এই অজুহাতে বেশিরভাগ মানুষই সকালে নাস্তা খান না। কিন্তু হার্ট সুস্থ রাখার জন্য একটি অন্যতম ভালো উপায় হলো প্রতিদিন সকালে নাস্তা করা।
উপযুক্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার: ড. গোল্ডবার্গের মতে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে বা পরিবারে কারো হার্টের রোগ আছে তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল খুব একটা খাওয়া উচিৎ নয়। সেক্ষেত্রে পিল গ্রহণ করতে পারবেন কিনা বা পারলেও কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ গাইনোকোলোজিস্টের সঙ্গে পরমর্শ করতে হবে।
স্বল্প মাত্রায় চিনি ও লবণ খান: অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি, চিনিযুক্ত খাবার,লবণ খেলে হার্টঅ্যাটাক হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। একদমই লবণ বা চিনি পরিহার করার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই তার পরিমাণ খুব অল্প হতে হবে।