মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে দুটি জঙ্গি আস্তানার মধ্যে একটির অভিযান সমাপ্ত ও অপরটির অভিযান স্থগিত করা রয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে সেলিম হোসেন ও প্রান্ত নামের দুজনকে আটক করে র্যাব। সেলিম চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আতা চালকের ছেলে এবং তার চাচাত ভাই প্রান্ত মতিয়ার রহমানের ছেলে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে দুপুরে প্রান্ত’র বাড়ির আস্তানার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সেলিমের বাড়ির পাঁচটি স্থানের অভিযান আজকের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামীকাল সকাল ৮টায় আবার অভিযান শুরু হবে।
পান্থ ও সেলিমের বাড়িতে অভিযানের সময় চারটি তাজা বোমা, ১৮৬টি বোমা তৈরীর সার্কিট, একটি ডিভাইস ও চারটি রাসায়নিক দ্রব্যের কনটেইনার উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে সেলিমের বাড়িতে আরো বোমা ও বিস্ফোরক দ্রব্য থাকতে পারে।
খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দাকর রফিকুল ইসলাম দুপুর ১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ঝিনাইদহ সদরের ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে আজ ভোরে সেলিম ও প্রান্ত নামে দুই নব্য জেএমবির সদস্যকে আটক করে র্যাব। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব আজ সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সেলিম ও প্রান্ত’র বাড়ি দুটি ঘিরে অভিযান শুরু করে। পরে সকাল ১০টার দিকে খুলনা থেকে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রীয় দলের সদস্যরা অভিযানে যোগ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রান্ত’র বাড়ির অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। সেলিমের বাড়ির পাঁচটি স্থানে অভিযান চলছে বলে জানান। পরে শেষ বিকেলের দিকে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আজকের মতো অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।
অভিযান চলাকালে পার্শ্ববর্তী বাড়ি-ঘরের লোকজনদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। আটককৃত পান্থ ও সেলিম র্যাবের হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে উদ্ধারকৃত বোমাগুলো নিষ্ক্রীয় করবে।