muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জে ভূয়া এনজিও বিন্দু সোসাইটি গোপনে আমানত সংগ্রহ করছে

রাজিবুল হক সিদ্দিকী, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জ বিন্দু সোসাইটি নামে একটি ভূয়া এনজিও গোপনে আমানত সংগ্রহের কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিশোরগঞ্জ শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর বিপরীতে ১৪৭ নং ভবনে তৃতীয় তলায় ভাড়া নেয়া কক্ষে সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সোসাইটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন। সদস্যদেরকে (গ্রাহক) অধিক মুনাফা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে মোটা অংকের আমানত সংগ্রহের জন্য সোসাইটির ৪/৫ জন মাঠকর্মী সহ মোট ১২-১৪ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। প্রকাশ্যে শিক্ষা কার্যক্রম ও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের নেপথ্যে মোটা অংকের আমানত সংগ্রহই প্রতিষ্ঠানের মূল্য উদ্দেশ্য।
অনুসন্ধানে রাজধানী ঢাকা, রাজবাড়ী জেলা, চাঁদপুর, গোপালগঞ্জ, বি.বাড়ীয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলার ৯ জনকে নিয়ে সংস্থাটির একটি কথিত কমিটি রয়েছে। কিশোরগঞ্জে সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, রহস্য পুরুষ হারুন-অর-রশিদ নামে এক পরিচালকের দায়িত্বে। রহস্য পুরুষ হারুন-অর-রশিদ এক সময়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসান এরও শিক্ষক ছিলেন বলে জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বৈধতা হারিয়ে বন্ধ হয়ে গেলে হারুন-অর-রশিদ বিন্দু সোসাইটি নামে এই এনজিওটির কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্রে স্থানীয় পৌর প্রশাসনের একটি ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত অন্য কোন কাগজপত্র নেই। নিয়ম অনুযায়ী বেসরকারী এনজিও পরিচালনার সমাজসেবা অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কর্তৃক ছাড়পত্র থাকা অত্যাবশ্যকীয়। বিন্দু সোসাইটি কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সার্টিফিকেটও নেই এনজিও নামধারী এই বেসরকারী সংস্থাটির। অথচ উক্ত সার্টিফিকেট ছাড়া কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা দন্ডনীয় অপরাধ।
এ ব্যাপারে সোসাইটি কার্যালয়ে গিয়ে কথিত পরিচালকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার সাক্ষাৎ মেলেনি। সংস্থায় মোটা অংকের আমানত জমাদানকারী একাধিক সদস্য কর্মচারীগণ জানান, সংস্থা থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে ভারত সরকার উক্ত সংস্থার সদস্য ও কর্মচারীদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য ২৭ লাখ টাকা অনুদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে জেলায় কর্মরত এনজিওদের যে তালিকা রয়েছে সে তালিকায় বিন্দু সোসাইটির নামের কোন এনজিও’র নাম নেই।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৮-০৫-২০১৭ইং/ অর্থ 

 

Tags: