মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ।।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্কুল পরিদর্শনে এসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্পের এক কর্মকর্তা ৪০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ মে শনিবার নাজমুল হক নামের এ কর্মকর্তা উপজেলার ৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাজমুল হক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪র্থ গ্রেডের একজন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে তার প্রদানকৃত রির্পোটের ওপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক স্কুল সরকারিকরণ হবে উল্লেখ করে। এ কথা বলে তিনি কটিয়াদী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার, কটিয়াদী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার, আর্দশ বিদ্যা নিকেতন থেকে ১০ হাজার, জালালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করেন।
পরিশেষে জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক টাকা নিয়ে দর কষাকষি করে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচয় জানতে চান। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানতে পারেন নাজমুল হককে উল্লেখিত স্কুলগুলোর সেকায়েপ প্রকল্পের তথ্য হালনাগাদকরণের কাজে প্রেরণ করা হয়। এর আগেও তিনি ভৈরবের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল হকের আদায়কৃত সকল টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে মুচলেকা দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৮-০৫-২০১৭ইং/ অর্থ