স্পোর্টস রিপোর্ট :
দুর্দান্ত খেললেন ছন্দে থাকা লিওনেল মেসি; গোল করলেন ও করালেন। আলো ছড়ালেন নেইমার-আন্দ্রে গোমেসরা। তাতে প্রথমবারের মতো কোপা দেল রের ফাইনালে ওঠা দেপোর্তিভো আলাভেসকে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় টানা তৃতীয় শিরোপা জিতল বার্সেলোনা।
শনিবার রাতে স্প্যানিশ কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল। শিরোপা জিতেই লুইস এনরিকেকে বিদায় জানালো মেসি-নেইমাররা।
বার্সেলোনার অন্য দুই গোলদাতা নেইমার ও পাকো আলকাসের।
প্রতিযোগিতায় রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা এই নিয়ে মোট ২৯ বার শিরোপা জিতল। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিন বছরের ক্যারিয়ারে প্রতিবারই স্প্যানিশ কাপের শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়লেন এনরিকে।
ভিসেন্তে কালদেরনে ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায় বার্সেলোনা; চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হাভিয়ের মাসচেরানো। ২৭তম মিনিটে পিছিয়ে পড়তে বসেছিল তারা। পাল্টা আক্রমণে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইবাই গোমেসের নীচু শট গোলরক্ষক ইয়াসপার সিলেসেনকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় কাতালান ক্লাবটি।
এর তিন মিনিট পরই দলকে এগিয়ে দেন মেসি। নেইমারের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে ৫৪টি গোল করলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
বার্সেলোনার এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৩৩তম মিনিটে অসাধারণ এক গোলে স্কোরলাইনে সমতা টানেন থিও হের্নান্দেস। ২৫ গজ দূর থেকে ফরাসি এই ডিফেন্ডারের বিদ্যুৎ গতির বাঁকানো শট ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়ায়।
বিরতির আগে তিন মিনিট ব্যবধানে আরও দু্বার বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বার্সেলোনা। দুটি গোলেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান দলের সেরা খেলোয়াড় মেসির।
৪৫তম মিনিটে তার দারুণ কোনাকুনি পাস ধরে আন্দ্রে গোমেস আড়াআড়ি বল বাড়ান। তা থেকে অনায়াসে দলকে ফের এগিয়ে দেন নেইমার।
এই নিয়ে কোপা দেল রেতে টানা তিন ফাইনালে গোল করলেন ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে তার গোল হলো ২০টি।
ব্যবধান বাড়ানো গোলটির মূল কৃতিত্ব মেসির। বাঁ-দিক থেকে দুজনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরেকজনকে কাটিয়ে সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো আলকাসেরকে পাস দেন তিনি। সহজেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্পেনের এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আবারও মেসি জাদু। তবে এ যাত্রায় গোলমুখে বাড়ানো তার দারুণ পাস পেয়ে আলকাসেরের প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক। ৭০তম মিনিটে জটলার মধ্যে বল পেয়ে রদ্রিগোর শট ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক।
২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়া এনরিকে প্রথম মৌসুমে বার্সেলোনাকে ‘ট্রেবল’ জেতানোর পরের মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের ডাবল জেতান। সব মিলিয়ে নয়টি শিরোপা জিতে বার্সেলোনাকে বিদায় জানালেন স্পেনের এই কোচ।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৮-মে-২০১৭ইং/নোমান