ওমর ফারুক খান জনি, নিজস্ব প্রতিবেদক:
নেই কোনো ঘর, নেই কোনো খাবারের ব্যবস্থা। বৃদ্ধের বয়স আশি বছর ছাড়িয়েছে। চেহারায় অপুষ্টির চিহৃ, কিন্তু মনোবল চাঙ্গা। একসময় পৈতৃক ভিটে বাড়ি ছিল কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী এলাকায়।
এ ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে তার।
এমনি এক দম্পতি বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম (৮৪) ও বৃদ্ধা বকুলা খাতুন (৬৫)। হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঢেকিয়া ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন একটি নির্মানাধীন স্যানিটারী ফ্যাক্টরীতে খোলা আকাশের নিচে আজকে (২৯ মে) পর্যন্ত ১৭০০ দিন ধরে মানববেতর জীবন যাপন করছেন।
রাত হলেই এই দম্পতি একটু আশ্রয় নেয়ার জন্য ৩ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট দৈর্ঘ্য ঢালাই পাইপের মধ্যে রাত্রি যাপন করে। নিঃসন্তান এই দম্পতি ভিটে বাড়ি ও সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই।সকালে খালি পেটে বেরিয়ে পড়েন দু মুটো অন্নের জন্য।তাদের হাতে প্লাস্টিকের বস্তা ও ভিক্ষার ঝুলি। অন্যের কাছে হাত বাড়িয়ে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।
বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, হায়রে পোড়া কপাল, কমিশনার ও মেয়র পদে ভোট দিলেও আমাগোর কোনো কাজ হয়না। পরদিন কি খামু তার কোনো আশা নেই।
স্ত্রী বকুলা জানান, হুনছি (শুনছি) অনেক মাইনষেরে (মানুষকে) সরকার ঘর দিছে, আমরার (আমাদের নাম) নাম নেই তালিকায় ।
স্বামী নূরুল ইসলামের নামে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকলেও স্ত্রী বকুলার নামে কোনো ভাতার ব্যবস্থা হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/৩০-০৫-২০১৭ইং/ অর্থ