লাইফ স্টাইল রিপোর্ট :
জর্দ্দা সাধারণত বাসায় এখন আর রান্না হয় না। বিয়ে বাড়ীতে কিংবা বিশেষ দাওয়াতেই জর্দ্দা দেখতে পাওয়া যায়। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এই খাবার হারিয়ে যাবার দুটো কারন হচ্ছে-
১) এই রান্নায় ব্যবহারিত মশলার দাম বেশী
২) ঘি এবং চিনির খাদ্য বলে অনেকে শরীরের জন্য না খেয়ে এড়িয়ে যান।
এরপরও ঘরে নিজ হাতে তৈরি করার মজাই আলাদা। তাই রেসিপিটি জেনে রাখুন-
উপকরণ:
১. চাউল (পোলাউ চাল বা যে কোন লম্বা চাল নিতে হবে, বাসমতী বা দেশমতী হলে ভাল)
২. খাঁটি ঘি- দেড় কাপ
৩. জাফরান- ১ গ্রাম
৪. জর্দ্দা রং এক চিমটি (জাফরান বেশি না থাকলে, ভাল ফুড কালার কিনতে হবে)
৫. পেস্তা বাদাম কুঁচি- ৪/৫ টেবিল চামচ
৬. কিসমিস- ৫/৬ টেবিল চামচ
৭. দারুচিনি- দুই তিনটা
৮. এলাচি- ৫/৬টা
৯. শুকনা খেজুর
১০. চিনি- হাফ কাপ
১১. গুঁড়ো দুধ- তিন টেবিল চামচ
১২. লবন- এক চিমটি
১৩. পানি (পরিমান মত)
তৈরি পদ্ধতি:
চাল ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর পানিতে সামান্য লবন এবং জাফরান দিতে হবে। জাফরানের ঘ্রান ও রং চাল সেদ্ধ হবার সাথে সাথে বের হতে থাকবে। চাল সেদ্ধ এবং রং ধরে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এবার পাত্রে ঘি গরম করুন এবং দারুচিনি, এলাচি দিয়ে ভেঁজে নিন। হাতের কাছে সব উপকরণ সাজিয়ে রাখুন।
পানি ঝরিয়ে রাখা চাল দিয়ে দিন এবং ভাঁজতে থাকুন। এই সময় পাত্রের তলায় তাওয়া দিতে পারেন, এতে আগুনের আঁচ কম লাগবে। চাল ভাঁজতে ভাঁজতে কিসমিস দিয়ে দিন এবং নাড়ুন। চিনি দিতে থাকুন এবং নাড়াতে থাকুন। চিনি ভেবে চিন্তে হিসাব করে দিবেন। এবার মিল্ক পাউডার ছিটিয়ে মিশাতে থাকুন এবং নাড়ুন। বাদাম কুঁচি এবং খেজুর কুঁচি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার চালের অবস্থা দেখুন, নরম হয়ে ঝরঝরে হয়ে গেল কিনা দেখে নিন।
স্বাদ দেখুন এবং খেয়াল রাখুন বেশি নরম নয় আবার যেন শক্তও না থাকে! যদি শক্ত লাগে তবে ঢাকনা দিয়ে অল্প আঁচে আরো কিছুক্ষন রেখে দিন। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত! কিছু বাদাম কুঁচি ছিটিয়ে দিন। এই সময়ে আপনি চাইলে কিছু ছোট নানান পদের মিষ্টি দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০২-জুন-২০১৭ইং/নোমান