মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছিনতাইয়ের সময় জনতা মটর সাইকেল সহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে অপর তিন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে গত ৯ জুন শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ হাইওয়ে সড়কে উপজেলার বক্তরমারা নামক স্থানে।
জানা যায়, ঐ সময় ভৈরব দুর্জয় মোড় থেকে যাত্রী বেশে মনির নামে এক ছিনতাইকারী সিএনজিতে উঠে ড্রাইভারের পাশে বসে। সিএনজির পিছনে তিনজন যাত্রী ছিল। সিএনজিটি দুর্জয় মোড় থেকে শম্ভূপুর রেলক্রসিংয়ের নিকট পৌঁছলে উমর ফারুক নামে অপর ছিনতাইকারী যাত্রী বেশে সিএনজি চালকের বামপাশে বসে। সিএনজিটি বক্তরমারা ব্রীজ অতিক্রম করার সময় উমর ফারুক প্রস্রাবের কথা বলে সিএনজিটি থামানোর সাথে সাথে ঢাকা মেট্রো ল-২৭৩৬১৪ নাম্বারের একটি মটর সাইকেল যোগে দুই ছিনতাইকারী পিছন দিক থেকে এসে সিএনজি থাকা যাত্রীদের মোবাইল সেট ও নগদ টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে সিএনজি থেকে নামিয়ে সিএনজিটি ছিনতাই করার চেষ্টা কালে যাত্রীদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও টহল পুলিশ এগিয়ে এসে ওমর ফারুক নামে এক ছিনতাইকারীকে মটর সাইকেল সহ আটক করে। এসময় অপর ৩ ছিনতাইকারী পালিয়ে যেতে যায়। ধৃত ওমর ফারুক উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের নোঁয়াগাও গ্রামের মৃত দারগ আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় সিএনজি চালক মোঃ হাসান মিয়া বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মকবুল হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করে বলেন, তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। যাত্রীবেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তারা ছিনতাই করে থাকে। পুলিশ তৎপর থাকায় জনগনের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইকারীকে ধৃত করতে সক্ষম হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সে লক্ষে পুলিশের মটর সাইকেল টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাইওয়ে সড়কে চেক পোস্ট কার্যক্রম জোরধার করা হয়েছে। এ ধরণের কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বাড়ীতে ব্লক রেট করা হচ্ছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১০–জুন–২০১৭ইং/নোমান