আকিব হোসেন খান হৃদয়, স্টাফ রিপোর্টার ।।
শিশুশ্রম আসলে আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। আমাদের আশেপাশের পরিবেশের বাতাস প্রতিনিয়তই শিশুদের কান্না এবং তাদের আত্নচিৎকারে ভারী হয়ে ওঠছে। তেমনি আজ আমার চোখ ছলছলিয়ে ওঠেছে মোঃ রায়হান মিয়া (১২) কে দেখে। রায়হান এর বয়স ১২ এমতাবস্থায় সকল শিশুদের হেসে খেলে বেড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু দৃষ্টিকটু হলেও এটাই সত্য যে ১২ বছরের এই শিশু রায়হান একটি টায়ারের দোকানে কাজ করছে আজ ৭ মাস পূর্ণ হলো।
হৃদয় বিদারক হলো সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, তার এক চোখ জন্ম থেকেই নষ্ট। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও সে তার ফ্যামিলি এবং পেটের দায়ে কাজ করছে এই ছোট্ট বয়সে। রায়হানের পিতা মোঃ মোস্তফা মিয়া পেশায় একজন অটো রিক্সা চালক। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কাসার চর গ্রামে। রায়হান এর পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিন বোন আর সে সহ ৬ জন। এই ছোট পরিবারের হয়েও এই বয়সে স্কুলে না গিয়ে সে কাজ করছে শহরের পুরাতন ষ্টেডিয়াম মার্কেটের একটি টায়ার এর দোকানে।প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও পাচ্ছে না কোন সরকারী ভাতা।
তাই সরকার এবং প্রশাসনের কাছে রায়হান যে নাগরীক সুবিধা পায় সে দিকে দৃষ্টি দিয়ে তার না দেখা চোখের দৃষ্টি কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে এমনটাই প্রত্যাশা রায়হান ও দোকান মালিক সহ সকলের।
বন্ধ হোক শিশু শ্রম, সবাই পাক নাগরিক সুবিধা।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৯-০৬-২০১৭ইং/ অর্থ