আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জে তারাবীহ নামাজশেষে বাড়ি ফেরার সাংবাদিক আবুল কাশেমকে পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করার এক বছর পার হয়ে গেলেও প্রধান আসামী গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, গত বছরের ২০ জুন রাতে রাতে সাংবাদিক আবুল কাসেম মহিনন্দের পাঠানপাড়া জামে মসজিদে তারাবীহ নামাজ শেষে নিজ বাড়ি মহিনন্দ ইউনিয়নের কাশোরারচরে ফেরার পথে লম্পট শামিম , জাহাঙ্গীর ও আবুল হাসেমের নেতৃত্ব একদল দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে চাইনিছ কুড়াল দিয়ে মাথায় ও গলায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাকে রক্ষা করতে এসে এলাকার আজিজুলকেও মারপিট করে আহত করে। পরে কাসেমের ডাক চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে কিশেরাগঞ্জ জেলা হাস্পাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ৩ মাস চিকিৎসাশেষে কিছুটা সুস্থ হলেও বর্তমানে অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
এদিকে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে কয়েকজন গ্রেফতার হলেও আইনের ফাক ফোকরে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। কিন্ত প্রধান আসামীকে আজও ধরতে পারেনি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ বিষয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলেও সে ধরাছোয়ার বাইরেই থেকে গেল। দৈনিক আমার কাগজ ও দৈনিক আজকের প্রভাতের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আবুল কাশেম কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়াও তিনি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের সহসাধারণ সম্পাদক ও মহিনন্দ ইতিহাস ওইতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত কাশোরারচর এলাকার লাল মিয়ার পুত্র বখাটে শামীম একই এলাকার নির্যাতিতা অসহায় বেদেনা নামে এক নারীকে উত্যক্ত করে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে ওই মহিলা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করে। এসব বিষয়ে সাংবাদিক আবুল কাশেম সংবাদ প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিল শামীম গংরা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর ও খায়রুল ইসলাম,সাগরসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও প্রধান আসামী শামীম গ্রেফতার না হওয়ায পরিবারটি আতংকে রয়ে গেছে।
এদিকে কাশোরারচর এলাকাসী ও আহতের স্বজনেরা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে অনেকবার। সাংবাদিককে আহত করার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদেরকে গ্রেফতারের দাবীতে স্থানীয় এলাকাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২০–জুন–২০১৭ইং/নোমান