মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ।।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ২৬ জুন (আজ) সোমবার জেলা সদরসহ ১৩টি উপজেলার গ্রামগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপমহাদেশের সর্ববৃহত্ ও জেলার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।ঈদুল ফিতরের নামাজ শুরুর আগেই লাখো লাখো মুসল্লির সমাগমে শোলাকিয়া জনসমুদ্রে পরিণত হয়।পরে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় ঈদগাহ ময়দানের ১৯০তম জামাতটি পরিচালনা করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
জামাতে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত জিআইজি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান,জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান (পিপিএম), জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-সচিব তরফদার মোহাম্মদ আক্তার জামীল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসউদসহ প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃত্ববৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত বছর ঈদ জামাতের বাহিরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গী হামলাসহ সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে কেন্দ্র করে নিরাপদে জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য এবার জোরদার করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠের চারপাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। এরই অংশ হিসেবে ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয় ১২০০ পুলিশ, ৮ প্লাটুন বিজিবি, ২০ প্লাটুন এপিবিএন, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের।এর সাথে যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে ৮টি ওয়াচ টাওয়ার ও ১০০টির মত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ঈদগাহ ও আশেপাশের এলাকাগুলো প্রতি মূর্হুতে পর্যবেক্ষণ করা হয়।মাঠে প্রবেশের ৭টি গেইটের নিদিষ্ট জায়গায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের দেহ তল্লাশির পর মাঠে প্রবেশ করানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৬-০৬-২০১৭ইং/ অর্থ