muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জ সদর

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

স্মরণকালের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে  কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের বৃহত্তম নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লাখো লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন ইসলামী  চিন্তাবিদ আল্লামা মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ।

সকাল থেকেই এ ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লির ঢল নামে শোলাকিয়া ময়দানে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ৩টি জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে, ২টি ৩ মিনিট আগে এবং শেষটি জামাত শুরুর ১ মিনিট আগে ছোড়া হয়।

ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। একইসঙ্গে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

এর আগে ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য মোট ২১টি ফটকের মধ্যে ৬টি প্রবেশপথ উন্মুক্ত রাখা হয়। এসব প্রবেশপথে স্থাপিত আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লি শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে ঢোকেন।

অবশ্য আরও অন্তত তিন দফা মেটাল ডিটেক্টরে সবার দেহ তল্লাশি করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা বা কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু জায়নামাজ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় তাদের।

ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি। বিজিবি, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, আরআরএফসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেড় হাজারেরও বেশি সদস্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানকে।

১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসেঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/২৬-০৬-২০১৭ইং/ অর্থ 

Tags: