মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ ।।
ব্যস্ততম কিশোরগঞ্জ শহরের বুকে বুক ভরে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাসের সাথে বিনোদনের সবটুকু আনন্দ উপভোগের মতো স্থান সরকারী গুরুদয়াল কলেজের পাশে নরসুন্দা নদীর পাড় ঘেষা নরসুন্দা লেকসিটি। ঘরোয়া জীবন থেকে মুক্তি আর নির্মল পরিবেশে একটু আনন্দ খুঁজার জন্যই প্রতিদিন পছন্দের তালিকায় থাকা লেকসিটির মুক্তমঞ্চ আর ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় ভীড় জমান হাজারো দর্শনার্থী।
চলতি ঈদের ছুটিতে এলাকাটি দর্শক সমাগমে আরও মুখোরিত ও সমবেত হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত শহর ছাড়াও এলাকাটিতে এখন পরিবার-পরিজন, আত্নীয়-স্বজনদের নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা। যাদের মধ্যে সিংহভাগই পেশাজীবি।
ঈদের ছুটিতে নরসুন্দা লেকসিটির মুক্তমঞ্চ আর ওয়াচ টাওয়ার যেন দর্শনার্থীদের ঈদ আনন্দকে বহু গুণে বাড়িয়ে তুলেছে।
অন্যন্য এ সৌন্দর্য্যের মাঝেও এখন এলাকাটিতে চোখে পড়ে কিছু উঠতি বয়সী যুবকদের অসামাজিক কার্যকলাপ যা দর্শনার্থীদের দুর্ভোগ আর বিড়ম্বনার সম্মূখীন করে তুলেছে। মোটরবাইক নিয়ে এলাকাটিতে ভো ভো করে ছুটাছুটি ছাড়াও প্রকাশ্যে ধুমপান, ইভটিজিংসহ কিছু কার্যকলাপ শহরু ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে আসা সাধারণ দর্শনার্থীদের বিষিয়ে তুলেছে।
হোসেনপুর থেকে ঈদের ছুটিতে নব বধূকে নিয়ে ঘুড়তে আসা শরিফুল আলম জানান, ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে এখানে ঘুড়তে আসা। জায়গাটি সুন্দর তবে উঠতি বয়সী ছেলেদের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট হয়ে গেছি। যখন লেকসিটির ওয়াকওয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকব তখন বেপোরোয়া ভাবে দুইজন ছেলে মটরবাইক লাগিয়ে দিল। এছাড়াও ছেলেরা মেয়েদের দেখে অনেক রকম মশকরা করে, আজে বাজে কথা বলে। বিষয়টি দেখায় মত কেউ নেই।
অন্যদিকে তানিয়া আক্তার জানান, মুক্তমঞ্চ আর ওয়াচ টাওয়ারে ঘুড়তে এসেছি। ওয়াচ টাওয়ারের দিকে যাওয়ার সময় এক ছেলে আমার ঘা ঘেঁষে মটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি ওয়াকওয়ে থেকে নিচে নেমে নিজেকে রক্ষা করেছি।
এসময় আরও অনেক দর্শনার্থী অভিযোগ করে বলেন, মুক্তমঞ্চ ও ওয়াচ টাওয়ার এলাকাটি খোলামেলা হওয়ায় ক্রমেই বখাটের দখলে চলে যাচ্ছে। যার যেটা ইচ্ছা সে সেটাই করছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিনিয়ত কোন না কোন অঘটন ঘটবে। এ জন্য তারা স্থানীয় প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৮-০৬-২০১৭ইং/ অর্থ