ঢাকাঃ সব রাজনৈতিক দল চাইলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছালে নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি পজেটিভলি দেখবে ইসি।’ রবিবার বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জববে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করলে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়ন করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।’
ওবায়দুল কাদের এই এ বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা করতে হবে। আমার জানা মতে যেই আঙ্গিকেই হোক বা যেই ক্যাপাসিটিতে হোক, সাধারণ নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে সেনা বাহিনী মাঠে ছিল। এবার সেনা মোতায়েন হবে কিনা, রাজনৈতিক দল যারা আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়া কমিশন এই পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। এ বিষয়ে যদি সব দলের সবাই ঐকমত্যে থাকে যে, সেনা বাহিনী ল অ্যান্ড ফোর্সের আওতায় নিয়ে আসবে, সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন পজিটিভলি চিন্তা করবে।’
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে প্রজাতন্ত্রের যত নির্বাহী বিভাগ আছে নির্বাচন কমিশনে তাদের চাকরি ন্যস্ত বলে গণ্য হবে। নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন ১৯৯১ অনুসারে এটি হবে। এই আইনে কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া আছে। কেউ যদি দায়িত্বপালনকালে শৈথিল্য প্রদর্শন করে এবং যদি ইনটেনশনালি কোনও অ্যাক্ট করে, তাহলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বর্তমান কমিশন যেকোনও শক্ত পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। সেই ধরনের আইনগত ভিত্তি ও শক্তি কমিশনের আছে।’
এদিকে নির্বাচনে সেনা বাহিনী থাকবে কি থাকবে না, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বা সরকারের কোনও মন্ত্রী তা জানাতে পারেন কি না বাংলা ট্রিবিউনের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে, আমাদের কথা হলো সব দল চাইলে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ইসি ভেবে দেখবে।’