পাপন সরকার শুভ্র, রাজশাহী :
নানা অনুষ্ঠান- আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালিত হল দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন, পায়রা উড়ানো ও বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাবির সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক এম সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, শুধু ডিগ্রি পাওয়ার আশায় গবেষণা করা থেকে বেরিয়ে এসে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য গবেষণা করতে হবে। তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়ার পাশাপাশি আমাদের দেশ বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে।
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যে জ্ঞান বা সফলতা মানুষের কাজে আসে না,সে সফলতার কোন মূল্য নেই। মানুষের কল্যাণেই কেবল সফলতার চাবিকাঠি। এই বোধ আমাদের তরুণ সমাজের তথা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই কেবল শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়া তোলা যাবে। নতুবা আমাদের সেই গতানুগতিক শিক্ষা দেশ বা মানুষের কোন কাজে আসবে না।
সভায় আলোচক হিসেবে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রকীব আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষালয় নয়।।এখানে শুধু ছাত্র-শিক্ষক তৈরি হয় না, আবার শুধু গবেষকও তৈরি হয় না। এটা একটা দর্শন। এ দর্শনটিকে বাস্তবায়ন করতে পারলেই বিশ্বের বুকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উচু করে দাঁড়াবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ, ইন্সটিটিউট, আবাসিক হলসমূহ আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আবাসিক হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জ্বা ও আল্পনা আঁকা হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৬–জুলাই–২০১৭ইং/নোমান