আমিনুল হক সাদী, নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
লোকালয়ে রাস্তার মাঝপথ দিয়ে ছুটছে বিশাল বড় হাতি। সামনে গাড়ি পেলেই শূড় দিয়ে জানায় ছালাম। শূড় বাড়িয়ে দেয় গাড়ির ভেতরে। চালকের কাছে। যতক্ষণ চালামি না আসে ততক্ষণ গাড়ি আটক রাখে হাতি। বখশিষ পেলে হাতির উপড়ে বসা মাহুতের কাছে শূড় দিয়ে পৌছে দেয় চালামির এ টাকা। তার পর হাতি এগিয়ে যায় সামনের দিকে। এভাবে একের পর এক গাড়ি থামিয়ে চলে চাঁদাবাজি!
আজ বুধবার সকাল থেকে করিমগঞ্জ পৌরসদরের বিভিন্ন এলাকায় চলে হাতির এ তান্ডব। গাড়ি থামিয়ে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের এ কৌশলকে চাঁদাবাজি হিসেবেই বলছেন করিমগঞ্জ ছোবহানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ফায়জুল মিয়া।
তিনি জানান, বাজারসহ মাদ্রাসা এলাকার ব্যাস্ততম সড়কে গাড়ি থামিয়ে হাতির মাধ্যমে টাকা আদায় করায় রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনৈতিক কাজ বন্ধে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিৎ।
কিরাটন সমিতি এলাকার অটোরিক্সা চালক সঞ্জু মিয়া জানান,হাতি শূড় দিয়ে যে ভাবে তার গাড়ি আটকিয়েছে তাতে তিনি ভয় পেয়েছিলেন। পরে চালামির টাকা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল নয়াকান্দি এলাকা ত্যাগ করেন তিনি।
চাঁদাবাজ এ হাতির বিশাল দেহের উপর বসা মাহুত জানান, পুরান ঢাকা থেকে এ হাতি নিয়ে এসেছেন তিনি।
এক পথচারি বলেন, এ মাহুতের সাথে আরো দু’জন লোক রয়েছে। তবে তারা তাদের সঠিক পরিচয় গোপন রাখছেন।
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বিষয়টাকে চাঁদাবাজি না বলে জনবিরক্তি কাজ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন,অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১১-০৭-২০১৭ইং/ অর্থ