শফিক কবীর, স্টাফ রিপোর্টার ।।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম হারুয়ার মৃত আঃ মতিনের বড় ছেলে হারুন অর রশিদ (৩০) শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও থেমে নেই তার কর্মজীবন।
খোজ নিয়ে জানাযায়, পিতার মৃত্যুর পর সংসারের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করতে হয় বড় সন্তান হিসেবে তাকেই। কিন্তু পাঁচ ভাই, চার বোন ও মা সহ এগারজনের সংসার অর্থাহারে অনাহারে চলতে থাকে তার জীবন সংসার। প্রতিবন্ধী হারুন কারো কাছে হাত না পেতে বেছেনেয় দৈনিক পত্রিকার হকারের কাজ, শহরের প্রধান প্রধান মোড়ো রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পত্রিকা বিক্রীর কমিশনে কোনমতে চালিয়ে নিচ্ছে সংসার।
এভাবে সংসার চালানো কষ্ট হচ্ছে ভেবে বেছেনেয় চা-পানের ক্ষুদ্র ব্যবসা। বিগত আট-নয় বছর যাবৎ কিশোরগঞ্জ পৌর ভবনের পাশে একটি টেবিল রেখে ফ্লাক্সে করে চা সহ পান সিগারেটের ব্যবসা, এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সংসার।
প্রতিবন্ধী হারুন বলেন, জন্ম থেকেই আমার হাতদুটো ছোট এবং বাঁকা হওয়া সত্বেও কারো কাছে হাত পাতাকে আমি ঘৃনাকরি। আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও কাজ করে খেতে চাই। কোনো সাহায্য সহযোগীতার কথা জানতে চাইলে হারুন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পাই যা থেকে মাসে ছয়শ টাকা আসে, এর বাহিরে আর কোন ব্যাক্তি, সংগঠন বা এনজিও থেকে সহযোগীতা পাইনি। কিছুদিন হলো ছোট এক ভাইকে একটি জুতার দোখানে কর্মচারীর কাজে লাগাই, আমিও এভাবে সারাজীবন কর্মকরে বাঁচতে চাই, কারো কাছে হাত পেতে নয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৭-০৭-২০১৭ইং/ অর্থ