আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনি
আখাউড়ায় হজ্ব গমনেচ্ছুক এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনায় আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন এবং মাননীয় বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন। একই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে রুল ইস্যু হয়েছে। ভূক্তভোগী ওই ব্যক্তি হলো উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামের আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার পুত্র মোঃ আজাদ হোসেন ভূইয়া। তার আইনজীবি এড. মোঃ কায়সার জাহিদ মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজাদ হোসেন ভূইয়ার আইনজীবি জাহিদ হোসেন বলেন, এবছর হজ্বে যাওয়ার জন্য আজাদ হোসেন ভূইয়া নিবন্ধন করেন। কিন্তু আখাউড়া থানা পুলিশ আজাদ হোসেন, মারা গেছেন এই মর্মে প্রতিবেদন দেওয়ায় তার হজ্ব গমনে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রতিবেদন সংশোধন করে দেয়ার জন্য গত ৩ জুলাই আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমোশারফ হোসেন তরফদারকে ডিমান্ড নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি (ওসি) ডিমান্ড নোটিশের জবাবও দেয়নি এবং প্রতিবেদনও সংশোধন করেনি। ন্যায় বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে আজাদ হোসেনের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করি।
মোঃ আজাদ হোসেন ভূইয়া বলেন, থানা থেকে এসআই আবুল কালাম আজাদ ফোন করে আমাকে পুলিশ প্রতিবেদন নেয়ার জন্য থানায় যেতে বলেছিল। কিন্তু আমি ব্যস্তকার কারণে যেতে পারিনি। পুলিশ কে ‘খুশি’ না করায় আমাকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আদালতের কাগজ হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৭-জুলাই–২০১৭ইং/নোমান