স্টাফ রিপোর্টার :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, রাসূল সা.এর আদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ না থাকায় হিংসা-বিদ্বেষের আগুনে মানুষ জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছে। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ে জর্জরিত জাতিকে বাঁচাতে হলে রাসূল সা.-এর অনুপম আদর্শের রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কিশোরগঞ্জ জেলাধীন হোসেনপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে হোসেনপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে বিশাল ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওঃ শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওঃ সৈয়দ আলী আনসার জায়েদ, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আবুল কালাম ফারুকী, মাওঃ শফিকুল ইসলাম ফারুকী, মাওঃ মীর আরিফ রব্বানী প্রমুখ।
মাহফিল পরিচালনা করেন মাওঃ মহিউদ্দিন আজমী।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মৃত্যুর পর মানুষের রাস্তা হলো- দু’টি। একটি জান্নাতের রাস্তা অপরটি জাহান্নামের। ঈমান মানে মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। মনে রাখবেন, কবরে চরমোনাইর পীরের মুরিদের পরিচয় কোনো কাজে আসবে না। সেখানে দেখা হবে আমল। আর দুনিয়া হলো- আখেরাতের কামাইয়ের জায়গা। আমল করার জায়গা।
পীর সাহেব চরমোনাই মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুনিয়ার মামলায় একবার হেরে গেলে আবার উচ্চ আদালতে আপিল করে খালাসের আশা করা যায়। কিন্তু আখেরাতের মামলায় কোনো আপিল নেই, কোনো তদবির সেখানে কাজে আসবে না। একমাত্র কোরআন-হাদিস অনুযায়ী নিজের জীবন গঠন করে কবরে যেতে পারলে মুক্তির আশা করা যায়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৯-জুলাই–২০১৭ইং/নোমান