আকাঙ্ক্ষিত প্রেমে পড়লে নাকি খাওয়া ঘুম স্বঘোষিত নিষিদ্ধ হয়ে যায়। দিন যায় রাত যায়, তবু না পায় ঘুম, না পায় খুধা। অস্থিরতা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় অজানার পথে। যোগাযোগ ঠিকমতো না হলে মানসিক চাপ থাকে, যোগাযোগ থাকলে চাপ আরও বাড়ে। এসময় আপনার মানসিকতার স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে তো? বিজ্ঞানীরা এর উত্তর খুঁজতে রীতিমতো গবেষণা করেছেন। উত্তর পেয়েছেন নানাবিধ। আসুন জেনে নেয়া যাক।
প্রেমের শুরু
গবেষকদের মতে, প্রেমে পড়লে প্রথমত হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, হাত ঘামতে থাকে, পেটের ভেতর কেমন চিনচিন করে, অস্থিরতা কাজ করে মনের ভেতর। কেমন যেন একটা উত্তেজনা আপনাকে স্থির হতেই দিচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্রেমে পড়লে টেস্টোস্টেরন নামের এক ধরণের হরমোন আমাদের মনে উত্তেজনা ছড়ায়। কোনো মানুষ বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকৃষ্ট হলে টেস্টোস্টেরন বাড়তে শুরু করে। আর তখনই সেই হরমোনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসব ঘটনা ঘটে।
প্রেমের নেশা
প্রেমের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে নেমে পড়ে ডোপামিন নামক হরমোন। ডোপামিনের অন্য নাম, ‘সুখের হরমোন’। শুধু প্রেমে পড়লেই যে এই হরমোন ক্রিয়াশীল হয় তা কিন্তু নয়, কোকেন বা সিগারেটের নেশা করলেও ডোপামিন তিড়িং বিড়িং লাফাতে থাকে। এ কারণেই বলা যেতে পারে, প্রেমে পড়া আর নেশা করা একই।
উৎসাহ বাড়ায়
সেরোটোনিন নামে এক ধরণের হরমোন আছে যা আমাদের মনের আনন্দ আর আবেগকে স্থির রাখে। প্রেমে পড়লে সেরোটোনিন কমে যায়। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকার আবেগ সংবরণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তারা তখন ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেনা।
আস্থা
প্রেমে পড়ার তিন-চার মাস পর সম্পর্কে একটা স্থিতি আসে। তখন শুরু হয় আরেক হরমোন অকসিটোসিনের কাজ। এই হরমোন দেহে বিশেষ বিশেষ মুহূ্র্তে তৈরি হয়। এই হরমোনের কারণে দুজনের সম্পর্কটা আরও ঘনিষ্ঠ হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা যখন চুম্বন করে, তখনও দুজনের শরীরে অকসিটোসিন তৈরি হয়। আর এভাবেই দুজন দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পথে এগিয়ে যায়।