একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের পলাতক রাজাকার হাফিজ উদ্দিন (৬৭) কে গ্রেফতার করছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪)। ১২ আগষ্ট শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জেলার ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের বর্শিকুড়া দরগাহাটি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হাফিজ উদ্দিন করিমগঞ্জ উপজেলার খুদিরজঙ্গল গ্রামের মৃত ইসমত আলীর ছেলে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, রাজাকার হাফিজ উদ্দিন ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের বর্শিকুড়া দরগাহাটি গ্রামে তার মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন, এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশ এ গ্রামটিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাফিজ উদ্দিন মেয়ের জামাই কামরুলের প্রতিবেশী তালেব আলীর ঘরের একটি মাচায় অবস্থান নেয়। অভিযানের এক পর্যায়ে র্যাব সদস্যরা সেখান থেকে হাফিজ উদ্দিনকে আটক করে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। একই বছরের ২৭ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ৩রা মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাফিজ উদ্দিনসহ ৪ রাজাকারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় এবং একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করে। মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে শামছুদ্দিন আহমেদ ছাড়া গ্রেফতার হওয়া হাফিজ উদ্দিন,নাসির উদ্দিন আহমেদ, আজহারুল ইসলাম ও গাজী আব্দুল মান্নান নামের ৪জন আসামি পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে পলাতক অবস্হায় গাজী আব্দুল মান্নান গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত অপর আসামি নাসির উদ্দিন আহমেদ ও আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত আজহারুল ইসলাম এখনো পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/ ১২-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ