মোঃ আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টার ।।
১৫ই আগস্ট এখন জাতির কাছে জাতির পিতা হত্যা দিবস বা বঙ্গবন্ধুর আত্নত্যাগের বিষয়টি সাভাবিক বিষয় করে তুলেছে স্বাধীনতার শত্রুরা। ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের যে রাতে আদেশহীন গুলি জাতির বুক ছিদ্র করেছিলো তেমনই জাতীয় ৪ নেতা ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় এলোপাথাড়ি গুলির শব্দ শুনে জাগ্রত হয়ে শুনেন হায়েনা তাদেরকেই মারতে এসেছে তখন জাতীয় নেতাগন কান্না না করে বলেছিলেন ১৫ই আগস্টে আমাদের নেতাকে মেরে শহীদ করেছো, তোমাদের উদ্দেশ্য জানা আছে। এরপর জাতীয় ৪ নেতাও বঙ্গবন্ধুর পথেই শহীদ হয়েছিলেন।
সেই ১৫ই আগস্ট থেকে ছয় দিন বেড়ে গিয়ে আরেকটি রুপ নিতে গিয়েছিলো ২১শে আগস্ট। জাতির জানা ছিলো এই নেত্রীকে হারালে স্বাধীনতার পক্ষে বাংলায় আর কিছুই থাকেনা। তাই সেদিন আইভি রহমানের মতো নেত্রী জীবন দিয়ে প্রমান করেছেন। সাধীনতার শত্রুরা জীবন নিতে পারে, এছাড়া আর কিছু দিতে পারেনা। এ শিক্ষা জাতি পেয়েছে ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এর পর থেকে।
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচী চলছে। ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে বলেন, জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে গভীর শ্রদ্ধার সাথে যথাযথ মর্যাদায় এই দিনিটিকে উদযাপন করা হবে। জেলা আওয়ামীলীগের গৃহীত কর্মসূচী হিসেবে ১৫ই আগস্ট সারাদিন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্নজীবনির আলোচনা ও ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কারিগর শেখ হাসিনার দীর্ঘ আয়ুর জন্য দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এবং জেলা কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারন করে শোক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/ ১৩-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ