স্পোর্টস রিপোর্ট ।। বাংলাদেশে আসার আগে এক সপ্তাহ উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে অনুশীলন করেছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল। একটাই উদ্দেশ্য, ঠিক বাংলাদেশের পরিবেশ এবং উইকেটের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। কারণ, ডারউইনের আবহাওয়া-পরিবেশ এবং উইকেট পুরোপুরি বাংলাদেশের মত। সেখানকার মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩টি করে মোট ৬টি উইকেট তৈরি করা হয়েছিল ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মত করে।
শুধু অনুশীলনই নয়, ডারউইনে বসে বাংলাদেশ নিয়েও বেশ গবেষণা চালিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত দেড়-দুই বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখে যারপরনাই অবাক হতেই হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে। যারা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের মত দলকে এবং শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদেরকে হারিয়ে এসেছে। অন্য টেস্টগুলোতে হেরে গেলেও যে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা- সবই বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখে তবেই বাংলাদেশগামী বিমানে উঠেছেন স্টিভেন স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নাররা।
বাংলাদেশে আসার পর অকপটে অসি অধিনায়ক স্বীকার করতে বাধ্য হলেন, এখানে সিরিজটা হবে বেশ কঠিনই। কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা বেশ ভালোভাবেই মর্মে প্রবেশ করেছে স্মিথের। একটা ভয়ও ধরে গিয়েছে তার। এ কারণে বললেন, ‘গত দেড়-দুই বছর ধরে নিজেদের মাটিতে বেশ ভালো খেলছে বাংলাদেশ। আমরা নিজেরাও এই সিরিজ নিয়ে খুব এক্সাইটেড। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
আজ (শনিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া সেন্টারে বসে এ দাবি করেন অজি দলপতি। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বেশ ভালো ক্রিকেট খেলে- এটাও স্বীকার করে নিলেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে অনেক ভালো ক্রিকেট খেলে। ঘরের মাঠে তাদেরকে হারানো কঠিন। কাজেই আমরা তাদের ব্যাপারে বেশ সতর্ক।’
উপমহাদেশের উইকেটে খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক। তবুও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চান তিনি। স্মিথ বলেন, ‘উপমহাদেশের উইকেট এবং কন্ডিশন সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা সে চ্যালেনঞ্জ গ্রহণ করতে চাই।’
বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন। বিশেষ করে সাকিব-তামিম-মুশফিক। স্মিথ মনে করেন- এদের কারণে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘তামিম-সাকিবদের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে বাংলাদেশে। যেটা তাদের বাড়তি পাওয়া।’
এছাড়াও অসি অধিনায়ক মনে করেন, সিরিজে স্পিনারদেরই বড় ভূমিকা থাকবে। তবে সিরিজে ভাল খেলার ব্যাপারেও অটল তিনি। প্রায় ১১ বছর পর বাংলাদেশের সাথে টেস্ট খেলতে পারায় বেশ উচ্ছসিত এই অসি। পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তার ব্যাপারে খুশি বলেও সাংবাদিকদের জানান।