শফিক কবীর, স্টাফ রিপোর্টার ।। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া গরুর বাজারে আজ প্রথম ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাপ্তাহিক শুক্রবার গরুর বাজার থাকলেও তেমন দেখা মেলেনি ক্রেতা ও বিক্রয়ের দৃশ্য।
বাজার ঘুরে দেখা মিলে বাজারের সবচেয়ে বড় গরুটি কটিয়াদি উপজেলার চরিয়াকোনা গ্রামের ফরিদ মিয়া (৬০) লাল রংঙ্গের একটি ষাঁড় গরু নিয়ে আসে বিক্রেতা হয়ে বিক্রির আসায়।
বিক্রেতা ফরিদ মিয়ার সংঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গত ঈদে এই গরুটি ঢাকার বাজারে দাম হয়েছিল সাড়ে চারলক্ষ টাকা কিন্তু দালালের পাল্লায় পড়ে বিক্রি করতে পারিনাই।
আজকের বাজারে ফরিদ মিয়া গরুটির দাম হাঁকেন সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা, আগ্রহী তেমন কোন ক্রেতা না থাকায় ইতোমধ্যে দাম উঠেছে সাড়ে তিন থেকে সর্বোচ্ছ চারলক্ষ টাকা।
ক্রেতা হিসেবে কথা হয় ডাঃ কামরুল ইসলামের সঙ্গে তিনি জানান, আগামী দুই সেপ্টেম্বর শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা তাই কোরবানীর গরু কিনতে এসে দেখি দাম একটু চড়া সাহস পাচ্ছিনা কিনতে। আমার মত অনেকেই এসেছে বাজারে কিন্তু কেউ কিনছে না শুধু বাজার দেখেই ফিরে যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে ইজারাদারের একাধীক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে ও যোগাযোগ করে জানা যায়, আজ ক্রয়-বিক্রয় নাই বললেই চলে। এ পর্যন্ত বিশ পঁচিশটি গরু বিক্রয় হয়েছে তাও ছোট ও মাঝারী। একটি বড় গরু বিক্রয় হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকায়। উল্লেখযোগ্য তেমন বিক্রয় না থাকায় অলস সময় পার করছি বাদাম-বুট ও চা-পানের মাধ্যমে। ইজারাদার জানান আজ ক্রয়-বিক্রয় না থাকলেও আমরা ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্থে আগামী বুধ, বৃহঃ ও শুক্রবার একাধারে তিনদিন এই বাজার নিয়মিত বসবে। আশা করি ক্রেতা-বিক্রেতার আগমনে জমে উঠবে ঐতিহাসিক এই শোলাকিয়া গরুর বাজার।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৫-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ