ডেস্ক রিপোর্ট ।। দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। গত একদিনে দেশের নদ-নদীর ৬৯টি পয়েন্টে পানি কমেছে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। অপরদিকে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি প্রবাহ হ্রাস অব্যাহত আছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ১৫ সেমি. পানি হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলও আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে।
দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) উন্নতি অব্যাহত থাকবে।
পদ্মা নদীর পানি সমতল কমতে শুরু করায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের নদ-নদীগুলো- বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ, টুংগিখাল বিপৎসীমার যথাক্রমে ৮৫ সেমি, ১৫ সেমি, ১৩ সেমি এবং ৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জে বিপৎসীমার ১৪ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও মেঘনা অববাহিকার নদীসমূহের মধ্যে কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৬৯টি পয়েন্টে পানি কমেছে, বৃদ্ধি পেয়েছে ২০টি। একটি পয়েন্টের আগের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি ৯০টি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে বন্যা তথ্যকেন্দ্রটি।