স্টাফ রিপোর্টর, সোহেল ইবনে ছিদ্দিক ।। পুরান ঢাকার একটি ব্যস্ততম এলাকা বাবু বাজার। সদরঘাটের পাশের এই বাজরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর পরিমান লোক আসে। সেই বাবু বাজার ব্রিজের নীচেই রয়েছে বাবা বাহার শাহ মাজার। এই মাজারে চলছে তিন দিন ব্যাপি ওরশ। আসলে ওরশের নামে সেখানে গাজার হাঠ বসেছে।
পুলিশ এবং প্রশাসনের সামনেই প্রকাশ্যে তারা গাজা ক্রয়-বিক্রয় করছে। আর ধুমধাম করে গানের তালে তালে খাওয়া হচ্ছে গাজা। যারা জীবনে কখনো গাজা খায়নি তদের সেখানে টিকে থাকা অসাধ্যকর আমি তাদের এই কান্ড কারখানা দেখার জন্য খুব কষ্টে সেখানে কিছুক্ষন অবস্তান করেছিলাম।
দেখা গেল বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা এসেছে এবং এলাকা ভিত্তিক একটা নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্তান করছে। তাদের বেশির ভাগের পরণে লাল সালু কাপর আর গলায় নানান তাবিজ-কবজ, বেশিরভাগ লোকের চুল লম্বাজট, কারো গায়ে শিকল, কারো গায়ে তালা, কারো গায়ে সামান্য পরিমান কাপড় দিয়ে শুধু লজ্জাস্তান ডাকা আবার কারো গায়ে কোন কাপরই নেই।
এসব দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আসছে। কেউ আসছে দেখার জন্য কেউ আসছে গাজা কেনার জন্য। সেখানে কিছুক্ষন থেকে দেখা গেল নানান পোশাকের লোক আসছে তাদের কাছ থেকে গাজা নিতে। ভদ্র বেশে এসে ঢুকে পড়ছে ওদের আস্তানায় যাবার সময় নিয়ে যাচ্ছে গাজার পুটলা। কেউ আবার আসছে মটর সাইকেল দিয়ে গাজার পুটলা নিতে।
যতখন ছিলাম অবাক হবার মতই শুধু দেখে যাচ্ছিলাম মহিলারাও কিভাবে গাজা টানছে। মহিলাদের গাজা টানার বিষয়টা দেখে আমি খুব অবাক হয়েছিলাম আসলে কিন্তু অবাক হবার কিছুই নেই এটাই বাস্তব।
শুধু বাবু বাজর নয় দেশের বিভিন্ন মাজারে ওরশের নামে চলে গাজা কেনা-বেচা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ব্যবসা। কিন্তু সবাই দেখেও এর কোন প্রতিবাদ বা এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্তা গ্রহন করছে না। আর যার প্রভাব পড়ছে আমাদের সমাজে। তাই এ বিষয়ে সবার মনযোগ এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৬-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ