শফিক কবীর, স্টাফ রিপোর্টার ।। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ দায়িত্বভার গ্রহনে অতিবাহিত করেন পুর্ন এক বছর সময়। এক বছর সময়কালীন গ্রহন করেন কিছু অনন্য উদ্দ্যোগ, বাস্তবায়ন করেন কষ্টসাধ্য কিছু কর্মপরিকল্পনা, সর্ব-সাধারনের / সমাজের মঙ্গল কামনার্থে পরিচালনা করেন মোবাইল কোর্ট।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় গত ২৫/১০/১৬ ইং তারিখে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ হতে ২৪/৮/১৭ ইং তারিখে শহরের অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ সহ এক বছরে সাতচল্লিশটি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একশত সাইত্রিশটি মামলা করেন। তবে জেল জরিমানার চেয়ে শতগুণ বেশি চেষ্টা করেছেন জনগণকে সচেতন করতে। যা ইতোমধ্যে সর্ব-সাধারনের প্রসংসায় প্রসংশিত হয়েছে।
অনন্য উদ্দ্যোগের মধ্যে উপজেলা পরিষদের পতিত জমিকে চাষের আওতায় এনে বিষমুক্ত প্রায় চল্লিশ প্রজাতের বিভিন্ন শাকসবজি চাষ সহ গাজর,ভুট্রা,বিট,লেটুসপাতা ও স্ট্রবেরি চাষ করে পুরো উপজেলা চত্বরকে সবুজের সমারোহে দৃষ্টিনন্দন ও পরিচ্ছন্ন করে তুলেন। প্রতিটি ইউনিয়নে দুঃস্হ, প্রসুতি নারী ও অসহায় রোগীদের জন্য, নামমাত্র ভাড়ায় চব্বিশ ঘন্টায় সার্ভিস দেওয়ার জন্য চালু করেন গ্রামীণ এম্বুলেন্স, যা বাংলাদেশে বিরল। তেমনিভাবে প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ব্যাগ বিতরন, মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রীদের জন্য নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুই হাজারের অধিক স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরন, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরন, স্কুলে মিড-ডে মিলের বাস্তবায়ন, উপজেলার আওতায় প্রতিটি স্কুল ও অফিসে ডাস্টবিন বিতরন করেন। বজ্রপাত থেকে নিরোধের জন্য সদর উপজেলাধীন বিভিন্ন স্হানে তালগাছ রোপন ও পরিবেশকে সবুজায়ন করতে বিভিন্ন বনজ ফলদ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করেন।
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কিশোরগঞ্জের রেল ষ্টেশনের সীমানা পরিচ্ছন্ন করে নতুন রঙের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেন ও শহরের নরসুন্ধা নদীকে কচুরিপানা ও আবর্জনামুক্ত করার জন্য নিয়মিত পরিচন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সদর উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা ও উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনতে কৃষকদের মধ্যে পাওয়ার টিলার, পাওয়ার থ্রেসার, ধান কাটার রিপার মেশিন এবং মাড়াইকল সরবরাহ করেছন। কৃষি ও পরিবেশ রক্ষায় তিনি LGRD মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট থেকে ঢাকা বিভাগের সকল উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা অর্জন করেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসন কিশোরগঞ্জ থেকে শ্রেষ্ট ইনোভেশন টিমের সম্মান অর্জন করেন।
ইতিপূর্বে তিনি বরিশাল বিভাগেও শ্রেষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মাননা অর্জন করেন। মহিলাদের আত্নকর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন এবং দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরন কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বিগত ১৯/১১/২০০৮ ইং থেকে ২২/০৮/২০১২ ইং পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অত্যন্ত সততা ও সুনামের সহিত প্রায় চার বছর আরডিসি, বিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল, জেল সুপারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/৩০-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ
Tags: