আকিব হৃদয়, স্টাফ রিপোর্টার ।। আজ ৪ঠা সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার ঘড়িতে তখন ৪ টা বেজে ৪০ মিনিট, বিকেল ঘনিয়ে এসেছে কারারক্ষীরাও তাদের ডিউটিতে ব্যস্ত। সাধারণ কারাগারের বন্দীদের সাথে দেখা করার সময় সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।
প্রতিদিনের মত সবাই যার যার আপনজনের সাথে দেখা করতে ব্যাস্ত ঠিক তখনই ওমর ফারুক (২৯) এসেছিলেন তার বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য, কিন্তু দেখা সাক্ষাতের পর তার আচারন সন্দেহজনক প্রকাশ পেলে কারাগারের সর্বপ্রধান কারারক্ষী জেসিও বাবুল মিয়া তাকে গোপনে অনুসরন করেন, এক পর্যায়ে সে যখন দর্শনার্থী কক্ষের বাহিরে আসিয়া কারা প্রাচীরের পাশে গিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য গাজা দেয়াল এর উপর দিয়ে কারা অভ্যান্তরে ছুড়ে মারার চেষ্টা করে ঠিক তখনি সর্বপ্রধান কারারক্ষী জেসিও বাবুল বিষয়টি টের পেয়ে কারারক্ষী আজাদকে সঙ্গে নিয়ে আসামী ওমর ফারুককে হাতেনাতে আটক করে।
পরে বিষয়টি জেল সুপার মোঃ বজলুর রশিদকে জানালে তিনি একপর্যায়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি অবহিত করে এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসউদের সরনাপন্ন হন।
সাথে সাথে থানা থেকে ফোর্স এসে আসামী ওমরা ফারুককে গাজাসহ জেল সুপারের উপস্থিতিতে বাবুল মিয়ার কাছ থেকে বুঝে নেন। পরে আসামীকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসউদ ঘটনার বিবরন শোনে ১৯/১ ধারায় মাদকদ্রব্য গ্রহন এবং পাচার এর অপরাধে ৭/ক ধারায় ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ওমর ফারুজ চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আটক ছিল।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৪-০৯-২০১৭ইং/ অর্থ