ডেস্ক রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশকে তথ্যনির্ভর পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে হলে আগামী প্রজন্মকে সাক্ষর এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি’।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রসার ও নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উপবৃত্তি কার্যক্রমসহ বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে এবং রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকার নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করেছে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা ও দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ অপরিহার্য। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের পূর্বেই মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে, ইনশাল্লাহ্।’
বাণীতে তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। বাসস
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৭-সেপ্টেম্বর–২০১৭ইং/নোমান
Tags: