কোমল পানীয়ের অপকারিতা নিয়ে কতো কথাই তো লেখা হয়। তারপরও মানুষ কোমল পানীয় খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে পারে না। বাজারে অসংখ্য ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় আছে। স্বাদ এবং রঙ ভিন্ন হলেও আসলে এর প্রত্যেকটিই একই ফর্মূলায় তৈরি। শুধুমাত্র ফ্লেভার দিয়ে পানীয়ের মাঝে ভিন্নতা সৃষ্টি করা হয়।
কোমল পানীয়ের নাম করে আসলে আমরা কী খাচ্ছি? একবার চোখে দেখার পর হয়তো আর কোনোদিন কোমল পানীয়ের নাম মুখেও আনবেন না
আপনি।
কোমল পানীয়ের মধ্যে কী আছে – এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে ২০১৪ সালের জুন মাসে। ভিডিওটিতে একটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে কোমল পানীয়ের নামে আপনি সাধারণত কী খান তাই দেখানো হয়েছে। বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই বাড়িতে বসে পরীক্ষাটি করতে পারবেন।
পানি জ্বাল দেয়া যায় এমন একটি পাত্রে এক লিটার কোমল পানীয় ঢেলে নিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। ধীরে ধীরে একসময় পানীয় ফুটতে থাকবে। এর কিছুক্ষণ পর কোমল পানীয়ের তরল অংশটুকু বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়ে নিচে শুধুমাত্র কালো থকথকে আঠালো এক ধরণের তরল পদার্থ পড়ে থাকবে।
এই পদার্থটি আর কিছু নয়, কোমল পানীয়ে থাকা ক্যারামেলাইজড চিনি এবং ব্যবহৃত রঙ। প্রতিদিন শখ করে এই চিনি ও রঙই খাচ্ছেন আপনি বোতলের পর বোতল। সাথে আরও বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান তো আছেই। এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোমল পানীয় খাবেন কি খাবেন না।