মৌমিতা তাসরিন, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ।। অাধুনিক হল রুম তৈরীর নামে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি অপরিকল্পিতভাবে ভেঙে দীর্ঘদিন যাবত অচল করে রেখেছে। কিশোরগঞ্জ শহরের শিল্প চর্চা ও পরিবেশনের একমাত্র কেন্দ্র জেলা শিল্পকলা একাডেমি অচলাবস্থার কারণে অনেক সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করে হাত গুঁটিয়ে বসে অাছে। পরিপ্রেক্ষিতে সক্রিয় কলা-কুশলীগণ নিরুৎসাহীত হয়ে পড়ছে।
সরজমিনে দেখা গেল বিল্ডিংয়ের কিছু নির্মাণ সংস্কারের অজুহাতে অপ্রয়োজনে ভাঙছে। নীচতলা টয়লেটগুলো শুধু ব্যবহার করা হয়েছে তবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়নি। এছাড়া ২য় ও তয় তলার টয়লেটগুলো ব্যবহারের সামগ্রিক উপযোগিতা থাকার প্রেক্ষিতেও ভেঙে রেখেছে প্রায় ২ মাসের অধিক। এতে শিল্পকলার শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন হলেও কিছুই করণীয় নাই।
প্রসঙ্গত প্রশ্ন অাসাই স্বাভাবিক এই টয়লেটগুলো কেন ভাঙা হল? কী ধরণের নির্মাণ প্রয়োজন ছিল? শিল্পকলায় কী কী কাজ হবে তার তালিকা বিলবোর্ড অাকারে কেন প্রকাশ হচ্ছে না? অাধুনিক শিল্পকলা নির্মাণে কাজ কতটুকু হবে বা কত দিনের মধ্যে শেষ হবে?
এব্যপারে কেউ কিছু জানে না! শিল্পকলার কাজের হাল-অবস্থা জানতে চাইলে তদারকি কমিটি সদস্যগণ খুব সহজভাবেই বলেন, ‘অামি এ ব্যপারে কিছু জানি না এবং অামাদের সমবেত এই পর্যন্ত কোন অালোচনা এখনো হয়নি।’ তবে তদারকি কমিটির সদস্যগণ ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করেন ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জ জেলার শিল্পকলা একাডেমি অাধুনিক শিল্পকলায় উন্নীত হোক।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০৫-১০-২০১৭ইং/ অর্থ