সজীব আহমেদ, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।। বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ফেন্সিডিল, বিয়ার ও বিদেশী মদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা মোড় এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদক-দ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ১২ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখে ২৩.০০ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি জুয়েল চাকমা এর নেতৃত্বে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাদকব্যবসায়ী ১) সবুজ খন্দকার (৩০), পিতা-আঃ কালেক খন্দকার, সাং-ছোটকড়ি পাইকা, থানা-আখাউড়া, ২) মোঃ বাবুল মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ মতি মিয়া, সাং-আলাদোলপুর, থানা-বিজয়নগর, ৩) মোঃ আলা-আমিন মিয়া (২৪), পিতা-আঃ মজিদ, সাং-কুসুমপুর, থানা-বিজয়নগর সর্ব জেলা-বি-বাড়িয়াদেরকে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দখল হতে ০৫(পাঁচ) বোতল ফেন্সিডিল, ১২(বার) বোতল স্কাফ কাফ সিরাপ, ০৩(তিন) বোতল বিয়ার, ০২(দুই) বোতল বিদেশী মদ, মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের ১১,৭৬০/- (এগার হাজার সাতশত ষাট টাকা) ও ০৫ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৮,১৫০/- টাকা।
ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ (সংশোধনী ২০০৪) ইং সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিল ৩(খ)/২১ ধারা মোতাবেক বি-বাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/১৩-অক্টোবর–২০১৭ইং/নোমান